নবীগঞ্জের ইনাতগঞ্জে লিটন হত্যা মামলার প্রধান আসামীসহ গ্রেফতার ৪

নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ)থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের মধ্যসমত গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের পুত্র  চাঞ্চল্যেকর লিটন মিয়া(৪৮) হত্যা মামলার প্রধান আসামী একই উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের কসবা গ্রামের কাছু মিয়ার পুত্র জোবেল মিয়া(২৮) ও তার বড় ভাই রুবেল মিয়া(৩২) কে বান্দরবন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামী কসবা গ্রামের রকবুল মিয়ার পুত্র জিলকার মিয়া(২৮)কে নেত্রকোনা ও একই গ্রামের রজব আলীর পুত্র মোজাহিদ মিয়া(৩২) কে বানিয়াচং উপজেলার তাজপুর থেকে গ্রেফতার করেছে।

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) ডালিম আহমেদের দিক নির্দেশনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এসআই রাজিব গত মঙ্গলবার ও বুধবার দুই দিনে প্রধান আসামী জোবেল ও তার ভাই রুবেলকে র্যাবের সহায়তায় এবং অন্য দুজনকে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেফতার করেন।
অন্য দুই আসামী পাহাড়াদার কসবা গ্রামের ফুলফর উল্লার পুত্র আব্দুল আলী (৬৫) ও ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের উমরপুর গ্রামের বুলকি মিয়া(৭০) ঘটনার পরপর পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
মামলার এজাহারে উল্লেখিত  মোট ৬ আসামীর মধ্যে সবাইকে গ্রেফতার করা হলো।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়,নিহত লিটন ইনাতগঞ্জ বাজারের একজন ব্যবসায়ী। গত ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে সে দোকানে আসার উদেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। পরদিনও বাড়ীতে না যাওয়ায় তার আত্মীয়স্বজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে কোথায়ও সন্ধান পাননি।
মামলার বাদী ছালেহ আহমদ জানান,কসবা গ্রামের জোবেলের সাথে তার ভাই লিটনের টাকা সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে বিরোধ রয়েছে। এই সন্দেহে ১৬ সেপ্টেম্বর তারা কসবা বাজারে জোবেলের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্টান মাজহারুল অটোপার্টস এন্ড ইলেক্ট্রনিকস দোকানে গিয়ে তার ভাইয়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে সে অশ্বিকার করে। পরে সিসি ফুটেজ দেখে আসামীদের সনাক্ত করা হয়।
১৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টায় কসবা জামে মসজিদের পাশে একটি ডোবায় লাশ ভাসতে দেখে গ্রামবাসী তার বাড়ীতে খবর দেন। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে নিহত লিটনের ছোট ভাই সালেহ আহমদ বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। প্রথম দফা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পান ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ কাওসার আলম। তার বদলিজনিত কারনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয় এসআই রাজিবকে।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ডালিম আহমেদ গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,সকল আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের রহশ্য উদঘাটন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা