নবীগঞ্জে ইউপি চেয়রম্যান ও মেম্বারের নারী নির্যাতন মামলা নিয়ে এলাকায় ধুম্রজাল

নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:নবীগঞ্জে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দায়েরী ধর্ষণ মামলা নিয়ে এলাকায় ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। গুচ্ছগ্রামে ২য় ঘর নির্মাণ করতে বাধাঁ দেয়ায় নিজের স্ত্রীকে দিয়ে উক্ত মামলার সৃষ্টি করেছেন বিয়ে পাগল মুহিবুর। এলাকাবাসীর দাবী উক্ত মুহিবুর নিজেকে পুলিশের সোর্স দাবী করে গ্রামের নিরীহ লোকদের হয়রানী, মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় আতংকে রয়েছে মানুষ। এছাড়া উক্ত ধর্ষণ মামলার খবরে ফুসে উঠেছে এলাকাবাসী। তারা ওই মামলাকে মিথ্যা আখ্যায়িত করে প্রত্যাহারের দাবী জানান। অন্যতায় গণ আন্দোলনের ডাক দেয়ারও হুমকী দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের পারকুলঁ গ্রামের বিয়ে পাগল মুহিবুর একাধিক বিয়ে করে। সে নিজেকে পুলিশের সোর্স দাবী করে বিদ্যুৎ প্লান্টে কর্মরত স্থানীয় শ্রমিকদের পরিবারে নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়া নিরীহ লোকদের নানা ভাবে হয়রানী করারও অভিযোগ উঠেছে। অপর দিকে পারকুল গ্রামে সরকারী ভাবে তৈরী হওয়া গুচ্ছগ্রামে মুহিবুর রহমানকে একটি ঘর বরাদ্ধ দেয়া হয়। কিন্তু ওই ঘর তার দখলে নিয়ে আরেকটি (২য়) ঘর নিমার্ণের উদ্দ্যোগ নিলে স্থানীয় মেম্বার দুলাল মিয়া বাধাঁ দেয় এবং উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করেন। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) সরজমিনে গিয়ে মুহিবুর রহমানের ২য় ঘর ভেঙ্গে দিয়ে আসেন। এ ঘটনার পরপরই মেম্বার দুলালের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন মুহিবুর। এছাড়া গত ১৭ অক্টোবর শনিবার উপজেলার সকল ইউনিয়নের বিট পুলিশিং এর উদ্যেগে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সমাবেশ করে পুলিশ প্রসাশন। এর অংশ হিসেবে আউশকান্দি ইউনিয়নে পুলিশের উর্ধ্বতণ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বিট পুলিশিং সমাবেশে স্থানীয় লোকজন উক্ত মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে নালিশ দেয়। এই খবর মুহিবুরের কানে গেলে চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুনের বিরুদ্ধেও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে নিজের স্ত্রী কে দিয়ে ধর্ষনের নাটক সাজিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামী করে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে মামলা করান মুহিবুর। অপর দিকে উক্ত মামলার মানিত ৯ জন স্বাক্ষী এফিডেভিটের মাধ্যমে ঘটনা মিথ্যা ও সাজানো উল্লেখ করে এফিডেভিট করেছেন। এ ব্যাপারে মেম্বার দুলাল মিয়া বলেন, গুচ্ছগ্রামে অন্যায়ভাবে ২য় ঘর নিমার্ণ কাজে আপত্তি দেয়াটাই ছিল আমার অপরাধ। ঘটনা কি, কোন দিন ঘটেছে তা আদৌ জানিনা। মামলার খবর পেয়ে কপি এনে দেখলাম। ঘটনা তারিখ দেয়া হয়েছে ৮ই অক্টোবর, উদ্ধার নিজে করেছেন ১১ অক্টোবর। হাসপাতাল ভর্তি করেছেন ১২ অক্টোবর। তাহলে ১১ অক্টোবর সারা রাত কোথায় ছিলেন মুহিবুরের স্ত্রী ? এটা বিবেকমান মানুষে বিচার করবেন। চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুন বলেন, মামলা হয়েছে শুনেছি। কিন্তু ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানিনা। বাদী তার মামলার আরজিতে উল্লেখ্য করেছেন, ঘটনার তারিখ বিকাল বেলা শেরপুর থেকে তার স্ত্রী রিক্সা যোগে বাড়ি যাবার পথে আসামীরা জোরপুর্বক সিএনজি যোগে অপহরন করে নিয়ে যায়। ৩ দিন পর আউশকান্দি বাজারে একটি হোটেলের সামনে পেলে যায়। পরে তার স্বামী উদ্ধার করে হাসপাতাল ভর্তি করেন। পুরো ঘটনাটিই রহস্য জনক বলে দাবী করেছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসী করেন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা দিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করলেই মুল রহস্য উদঘাটিত হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা