উত্তম কুমার পাল হিমেল:: বর্তমান সময়ে দেশের করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নবীগঞ্জ বাজারের সর্বস্তরের ব্যবসায়ীদের নিয়ে সোমবার (১১মে) বিকালে নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পালের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন,নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম,নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি সুমাইয়া মমিন,নবীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী,ওসি আজিজুর রহমান,ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক জিলু আহমদ,ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক অর্থ সম্পাদক প্রমথ চক্রবর্ত্তী বেনু,পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ব্যবসায়ী মোজাহিদ আলম,সাধারন সম্পাদক ব্যবসায়ী নির্মলেন্দু দাশ রানা,উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মোঃ আলমগীর মিয়া, ব্যবসায়ী মোঃ আবু সালেহ,ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান,ব্যবসায়ী সাধন চন্দ্র দাশ, মোঃ সফিক মিয়া,ইনাতগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দিলবার হুসেন ,ব্যবসায়ী কাওসার আহমেদ,তাজুল ইসলাম প্রমূখ। সভায় উপস্থিত ছিলেন,পৌরসভার প্যানেল চেয়ারম্যান ব্যবসায়ী বাবুল চন্দ্র দাশ,ব্যবসায়ী বিরেশ পাল,কাজল রায়,সুজিত পাল,বিন্দু বাবু,হিমাংশু দত্ত শৈলেশসহ অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভার শুরুতে নবীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী দেশের অন্যান্য স্থানের মত বিভিন্ন শপিংমল,মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে কথা বিবেচনা করে নবীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের মতামত চাইলে দেশের এই দুর্যোগপূর্ন সময় মহামারী করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় নিজের নিরাপত্তা,পরিবার পরিজনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে নিজ উদ্যোগে আগামী ২৫ শে মে পর্যন্ত কাচামাল,সবজি,মুদিমাল,ঔষধের দোকান ব্যাতিত বাকী সব ধরনের মালামালের দোকানপাঠ বন্ধ রাখার পক্ষ্যে মতামত ব্যক্ত করেন। দেশ ও নিজ এলাকার বৃহৎ স্বার্থে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের মতামতকে সাধুবাদ জানিয়ে উপজেলা প্রশাসন যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরন করে কাচামাল,সবজি,মুদিমাল,ঔষধের দোকান প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত খোলা, এছাড়া বাকী সব ধরনের মালামালের দোকানপাঠ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। এ বিষয়টি নবীগঞ্জ বাজারসহ উপজেলার অন্যান্য বাজারে মাইকিং করে জানানোর জন্য বাবসায়ী সমিতি ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। গৃহীত সিদ্ধান্তের বাহিরের যদি কেউ দোকান খোলা রাখেন বা মুদি মালের দোকানে অন্য ধরনের পন্য বিক্রি করেন তাদের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার আইনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনসহ জরিমান প্রদান করা হবে। এছাড়া দেশের এই দুর্যোগকালীন সময়ে ব্যবসায়ীদের ও কথা চিন্তা করে যে সকল দোকান মালিকগন দোকান বন্ধ রাখছেন তাদের তালিকা করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্যের সুপারিশ মোতাবেক ২ মাসের ভাড়া মওকুপ করার জন্য দোকান মালিকদের নিকট প্রেরন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
Leave a Reply