হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার করগাও ইউনিয়নের গুমগুমিয়া গ্রামে কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুর্গা মন্দরিরের পূজামণ্ডপের সামনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে মাদ্রাসার ছাত্র ও যুবকদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় সংঘর্ষে নবীগঞ্জ থানার ওসিসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। আশংকাজনক অবস্থায় দুজনকে সিলেট প্রেরণ করা হয়েছে।
জানাযায়,বৃহস্পতিবার ১৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে এঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ডালিম আহমেদ (৪২), নিরাপদ দাশ(৩৮), বদরুল হোসেন (১৬), সাজনা বেগম (৩০), সতিশ দাশ (৬২), অপু দাশ (৩৫), প্রিয়াংকা দাশ (২২),কুটন দাশ (৩৫), সুপ্রদীপ দাশ (২৫), সৈতেন্দ দাশ (৬৫), ইব্রাহিম মিয়া (৩০), বনজিত দাশ (৫৫)। গুরুতর আহত অবস্থায় পুরভী দাশ (৫২), বিউটি দাশ (২০) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। নবীগঞ্জ হাসপাতালে রূপু দাশ(৩৫), গুরুধন দাশ(৬০), আশীষ দাশ(৩০)কে ভর্তি করা হয়েছে। পরে গুমগুমিয়া থেকে নবীগঞ্জ বাজারে আসার পথে ঐ গ্রামের নিবারন দাশের পুত্র নিরাপদ দাশের উপরও হামলা করে গুরুতর আহত করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নবীগঞ্জ উপজেলার করগাও ইউনিয়নের গুমগুমিয়া গ্রামের পাঞ্জারাই জি.কে.ওয়াই দাখিল মাদ্রাসার ছাত্ররা স্থানীয় যুবকদের নিয়ে মিছিল নিয়ে গুমগুমিয়া গ্রামের দুর্গা মন্দিরে ঢুকতে চাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বী পুজারীবৃন্দ বাধা দিলে তাদের সাথে মাদ্রাসা ছাত্রদের বাকবিতন্ডায় হয়। এ সময় দুর্গা পূজা মন্ডপের সামনেই লাইটিং ও অন্যান্য সামগ্রী ভাংচুর করে,পুজারীদের উপর হামলা করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে মিছিলকারীরা । এ সময় মিছিল থেকে ইটপাটকেলও নিক্ষেপ করা হয় পুজা মন্ডপে।
সুত্রে জানা যায়, গুমগুমিয়া গ্রামের বুলু মিয়ার পুত্র শামীম মিয়া , পাঞ্জারাই গ্রামের ইসমাইল মৌলানার পুত্র জুনায়েদ মিয়া, পাঞ্জারাই গ্রামের সজ্জাত মেম্বারের পুত্র, এলায়েস মিয়ার পুত্র, সুহেল মিয়া জামাল উদ্দিননের পুত্র সুহেল মিয়া, আবুল কালাম গংদের নের্তৃত্বে ভাংচুর ও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করলে নবীগঞ্জ থানার ওসি মো. ডালিম আহমদ মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন। তাকে নবীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনার পর হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদ, সিলেটের ডিআইজি মো. মফিজ উদ্দিন, হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন, সার্কেল এএসপি আবুল খায়ের ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করেন। এঘটনার পর র্যাব-পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম গুমগুমিয়া গ্রামে মোতায়েন করা হয়েছে। ।
নবীগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত মোঃ আমিনুল ইসলা বলেন,বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। যারা হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে তদন্তপুর্বক তাদের বিরুদ্ধ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে, পূজামন্ডপে হামলার সাথে কে বা কারা এ ঘটনার সাথে জগিত প্রশাসন তদন্ত পুর্বক এদের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেবে।
Leave a Reply