নবীগঞ্জে নদী ভাঙনের কবলে ৩শ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী বাড়ি

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জ উপজেলা দীঘলবাকে এবার সর্বনাশা কুশিয়ারা নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে ৩শত বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহি একটি বাড়ি। এছাড়াও এই নদী কেড়ে নিচ্ছে ঘর-বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ফসলি জমি। কুশিয়ারার এই ভাঙন চলছে যুগের পর যুগ ধরে। সর্বশান্ত হয়ে পথে বসেছে শত শত পরিবার। যাদের অনেক কিছুই ছিল তারা আজ চরম মানবেতর জীবনযাপন করছে। প্রতি বছরই গৃহহীনের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু নদী ভাঙন থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষায় তেমন কোনো উদ্যোগই নেই কর্তৃপক্ষের। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একদিকে কুশিয়ারার করাল গ্রাস অপর দিকে ভাঙন। এ দুয়ে মিলে এলাকাবাসী কঠিন জীবন সংগ্রামের মধ্যে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। মাঝে মধ্যে বৃষ্টি হলেই নতুন করে ভাঙনের সৃষ্টি হয় কুশিয়ারার পাড়ে। ফলে বিলীন হয়ে যায় নতুন নতুন বাড়ী ও স্থাপনা।

গত কয়েকদিন ধরে ভাঙনের কবলে পড়েছে সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ফুফুর বাড়ি। দীঘলবাক গ্রামের প্রবাসী আবুল হাসেম ছুপির প্রায় ৩শত বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহি ওই বাড়িতে অনেক মন্ত্রী এমপিসহ সরকারের বিভিন্ন দফতরের লোকজন গিয়েছেন। কিন্তু ওই বাড়িটি আজ পড়েছে কুশিয়ারার ভাঙনের কবলে। কুশিয়ারা নদীর ভয়াবহ ভাঙন থেকে ঐতিহ্যবাহী দীঘলবাক এলাকাবাসীকে রক্ষা করতে সরকারের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করে ইতিপুর্বে সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ভাতিজা সমাজকর্মী, লেখক শিক্ষানুরাগী ও সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ ছোটন এর নেতৃত্বে বিশাল মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসুচী পালন করেছিল দীঘলবাকবাসী।

এ প্রসঙ্গে আবুল কালাম আজাদ ছোটন বলেন, দীঘলবাক একটি ঐতিহ্যবাহী গ্রাম, ইউনিয়ন পরিষদের নামও এই গ্রামের নামে নামকরণ করা হয়েছিল, কিন্তু এই গ্রাম আজ বিলিন হওয়ার পথে। নদী ভাঙনের ফলে বেকারত্ব, অশিক্ষা, দরিদ্রতা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। দ্রুত নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন স্থানীয়রা পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাবরে বারবার আবেদন করেও কোন ফল পাচ্ছেন না। অচিরেই নদী ভাঙন রোধে কোন ব্যবস্থা না নিলে ঐতিহ্যবাহী দীঘলবাক গ্রাম তথা ইউনিয়ন এক সময় বিলিন হয়ে যাওয়ার আশংকায় আছেন। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদ-বিন-হাসান বলেন, কুশিয়ারা নদীর ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড ইতিমধ্যে একটি প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে বরাদ্দ এলেই কাজ শুরু হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা