নবীগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি॥ প্রশাসনের পক্ষে ত্রাণ বিতরণ

সংবাদদাতা:নবীগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদ সীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেশির ভাগ সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। নীচু এলাকার ঘরবাড়িতে বন্যার পানি ডুকে পড়েছে। উপজেলায় দীঘলবাক ইউনিয়নের রাধাপুর গ্রামের নিকটে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ কুশিয়ারা ডাইকের বাধের সামনের বিকল্প জায়গায় বাধ দিয়ে বন্যার পানি আটকানোর চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। মূল ভাঙ্গন দিয়ে পানি প্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার কুশিয়ারার নদীর পানি তেমন বৃদ্ধি না পেলেও ৫টা পর্যন্ত পানি বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ইনাতগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় সহ ওই এলাকার ১০টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যার্থ মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছেন। তারা বিভিন্ন উচু স্থানে অস্থায়ী ক্যাম্প করে পরিবার পরিজন নিয়ে অবস্থান করছেন।গতকাল মঙ্গলবার জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইনাতগঞ্জ,দীঘলবাক ও আউশকান্দি ইউনিয়নে বন্যার্ত মানুষের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে ছিলো চাল.ুচিড়া,গুড়,খাবার স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট। এ সময় উপস্থিত ছিলেন,হবিগঞ্জ ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া,নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্ত তৌহিদ-বিন হাসান। এদিকে ডাইকের ভাঙ্গন বন্ধ না হওয়ায়া লোকজনের মধ্যে আতংক ও উদ্বেক দেখা দিয়েছে। পানি বৃদ্ধি হয়ে বিভিন্ন প্রায় ১০ হাজার একর ফসলী জমি ও বীজতলা তলিয়ে গেছে। ইতিমধ্যে প্রায় শতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ বিস হাসান জানান, বন্যার পানি বৃদ্ধি থাকায় এ বাঁধ মেরামত কাজ ব্যহত হচ্ছে। পানি বন্ধি মানুষ চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন। কুশিয়ারা ডাইক ভেঙ্গে নবীগঞ্জ উপজেলার, রাজের বন্ধ, জোয়াল ভাঙ্গা হাওর, বেলি বিল, বড় হাওর, ঘুঙ্গিয়াজুরি হাওরের প্রায় ১০ হাজার একর ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। প্রতি ঘন্টায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। হবিগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এম,এল সৈকত বলেন, বিকাল সাড়ে ৪টায় কুশিয়ারা নদীর পানি বর্তমানে বিপদসীমার ৫৫ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভেঙ্গে যাওয়া কুশিয়ারা ডাইকে মেরামতের জন্য আমাদের লোকজন কাজ করছে।
এদিকে বন্যার কারনে উপজেলার ১৬টি বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রসহ দুটি উচ্চ বিদ্যালয়,১১টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৩টি মাদ্রাসা বন্ধ রাখা হয়েছে।নবীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান,১১টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যার পানির জন্য বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।আরো বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা