মোঃ সুমন আলী খান, নবীগঞ্জ ॥ হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায় পৃথক অভিযানে ১৩ জন জুয়াড়িকে আটক করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে দুই জুয়াড়িকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদ- ও বাকি সবাইকে একশত টাকা অর্থদ- দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ বিন হাসান তাঁর কার্যালয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ১৩জন জোয়াড়িদের মধ্যে এক জোয়াড়িকে এক মাসের সাজা এবং অপর জোয়াড়িকে সাত দিনের সাজার রায় দেন।
উপজেলার গোপলার বাজার ফাঁড়ির এসআই মাজহারুল ইসলাম ও এসআই কাওছার মাহমুদ তোরন এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ গোপন সংবাদ ভিত্তিতে মঙ্গঁলবার সন্ধ্যায় গজনাইপুর ইউনিয়নের রামরোহ গ্রামে অভিযান চালিয়ে জুয়া খেলা অবস্থায় ৪ জনকে আটক করেন। অপর দিকে পৃথক অভিযান চালিয়ে একই ইউনিয়নের শতক গ্রামে আরো ৯ জনকে আটক করেন। পরে জোয়াড়িদেরকে বুধবার দুপুরে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে গেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ১৩জন জোয়াড়িদের মধ্যে সুহেল আহমেদকে এক মাসের সাজাও আব্দুল সালামকে সাত দিনের সাজা এবং বাকি জোয়াড়িদের একশত টাকা অর্থদ-ের রায় দেন।
কারাদ- ও অর্থদ-িতরা হলেন, উপজেলার গজনাইপুর ইউণিয়নের রামরোহ গ্রামের মৃত ছাও মিয়ার পুত্র আব্দুল সালাম (৩০), ওয়াহিদ উল্লার পুত্র সুহেল আহমেদ (২৮), মৃত লেবু মিয়ার পুত্র বাবুল মিয়া (৩০), মৃত মছদ্দর আলীর পুত্র রুহেল মিয়া (৩৬), শতক গ্রামের নছর মিয়ার পুত্র কাউছ মিয়া (২৫), আব্দুল করিম মিয়ার পুত্র মহসিন মিয়া (৩৫), শতক (বড়ইতলা) গ্রামের মৃত আব্দুল করিম মিয়ার পুত্র ফিরোজ মিয়া (৩২), আমজাদ মিয়ার পুত্র মিলন মিয়া (৩৫), মুজিব আলীর পুত্র মোশাররফ (৩০), সালামত মিয়ার পুত্র হামিদ মিয়া (৩৫), ছনাওর উল্লার পুত্র আতাউর রহমান (৩৬), আনোয়ার মিয়ার পুত্র ইকবাল হোসেন (২৭), আমির উল্লার পুত্র আনোয়ার মিয়া (৩৭)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন গোপলার বাজার ফাঁড়ির এসআই মাজহারুল ইসলাম ও এসআই কাওছার মাহমুদ তোরন জানান, মাদক ও জোয়াড়ি বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Leave a Reply