নোয়াখালী থেকে নবীন:: বন্ধুরা যখন চাকুরী করে উন্নত জীবন যাপন করছেন সেখানে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের বেডে মৃত্যর প্রহর গুনছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ফুড টেকনোলোজি এন্ড নিউট্রিশন সায়েন্স বিভাগের ৭ম ব্যাচের মেধাবী ছাত্র মাহফুজ জনি। তাকে সুস্থ জীবনে ফিরে আনতে নিংস্ব তার পরিবার। তাই তাকে বাঁচানোর জন্য এই মুহূর্তে বড় অংকের আর্থিক সাহায্যে প্রয়োজন।
গত ১ বছর যাবত তিনি দুরারোগ্য ক্যান্সারে ভুগছেন। দীর্ঘদিন বাংলাদেশে চিকিৎসা নেওয়ার ফলেও কোন সুস্থতার খোঁজ না মিলায় চলে যান ভারতে সেখানে অনেকদিন থাকার পরেও তার অবস্থার কোন উন্নতি হয়নি। প্রতিটি মুহূর্তে গুনছেন মৃতুর প্রহর।
তার বন্ধুদের কাছ থেকে জানা যায়, কষ্টের যন্ত্রণায় নিরুপায় হয়ে তিনি আত্মহত্যা করতে চাচ্ছেন। তাই আরো কয়েকটি মুহূর্ত বেঁচে থাকার জন্য তাকে হাসপাতালেই থাকতে হবে এই জন্য প্রয়োজন অনেক টাকা।
মাহফুজ জনির ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে জানা যায়, কিছুদিন আগে ভারতের ভেলরে সিএমসি হাসপাতালে গিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য কিন্তু ওখানে গিয়ে বুঝতে পারেন বাংলাদেশের ডাক্তাররা তাকে রোগের ব্যাপারে সঠিক তথ্য দেয় নি। তাছাড়া দেশীয় ডাক্তারদের কাছ থেকে সঠিক দিক নির্দেশনাও পাননি বলে ফেসবুকে লিখেন।
তিনি আরো লিখেন তার বর্তমান সমস্যার নাম ভায়েল অবস্ট্রাকশন। ক্ষুদ্রান্তে প্রচুর পানি জমছে, ফ্লুইড আর এন্টিবায়োটিক। আর এরপর কোলনে আগের ক্যান্সার থেকে কিছু টিউমার এসে পায়খানার রাস্তাটা বন্ধ করে দিচ্ছে। ডাক্তারগন একটা বা দুইটা টিউমারের অপারেশন করতে পারেন, একাধিক করতে পারেন না ।
পায়ুপথের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পানি,জুস ছাড়া অনেক দিন কিছু খেতে পারছেন না। খেতে না পারায় গ্যাসে ফুলে যাচ্ছে পেট। অবর্ননীয় কষ্ট । ক্যান্সার স্টেজ ও আগাচ্ছে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য বর্তমানে পিজি হাসপাতালে ভর্তি হতে চাচ্ছেন। আর ক্যান্সার শেষ স্টেজে ডায়াগনস্টিক, টেস্ট, সার্জারীর সহ সব ক্ষেত্রেই টাকা বেশি লাগে।তাই তিনি নোবিপ্রবির সহ সর্বস্তরের মানুষের কাছে সাহায্য চেয়েছেন।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা-
বিকাশঃ
০১৭৫৭৩৪৪৬২৬ (মেহেদী, নবম ব্যাচ) ০১৭৯৮৫০২৩৯৯ (রিমন, নবম ব্যাচ)
রকেটঃ ০১৭১২৮৬৬২৪৪৭
(নেশন, নবম ব্যাচ)
Leave a Reply