নোয়াখালী থেকে নবীন::নোয়াখালীতে পারভিন আক্তার নামে এক কিশোরী হত্যা মামলায় স্বামীকে আটক করেছে পিবিআই। শুক্রবার মধ্যরাতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গেপ্তারকৃত মো: শেখ সেলিম (৩০) নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ডিগ্রির চর গ্রামের শুক্কুর আলী শেখের ছেলে। শুক্রবার রাত একটার দিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর একটি দল চট্টগ্রামের চাটগাঁও থানার মৌলভী পুকুরপাড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের সেলিম অপরাধ স্বীকার করেছে। শনিবার দুপুরে নোয়াখালী পিবিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রেসব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রেসবিফিংয়ে বিপিআই চট্টগ্রামের বিশেষ পুলিশ সুপার মো: ইকবাল জানান, নিহত পারভীন আক্তার ফাহিমা ও শেখ সেলিম চট্টগ্রামের একটি পোষক কারখানায় কাজ করতেন। গত রমজানের তিনদিন আগে তারা বিয়ে করে এবং এরপর দুই মাস ঢাকায় থাকে। সেলিম এর আগেও আরো এক বিয়ে করেন এবং তার একটি সন্তান রয়েছে জানার পর ফাহিমা তাকে ছেড়ে নিজ বাড়িতে চলে আসেন। মাঝে মধ্যে মুঠোফোনে তাদের দুজনের মধ্যে কথা কটাকাটি হতো। বাড়িতে আসার পর ফাহিমা পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে বলে তথ্য দেয় সেলিম।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার সেলিম নোয়াখালী আসে। জেলা সদরের সোনাপুর থেকে দুইশ টাকায় একটি ধারালো চুরি কিনে নেয় সে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মুঠোফোনে বাড়ির পাশে ঝোঁপের মধ্যে ফাহিমাকে ডেকে নেয় সে। এরপর কথা কাটকাটির এক পর্যায়ে পেছন দিক থেকে ফাহিমাকে ধারালো চুরি দিয়ে গলাকেটে তাকে হত্যা করে সে। হত্যার পর তার হাত পায়ের রগ সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ কেটে ক্ষতবিক্ষত করে আবার চট্টগ্রাম ফিরে যায় সে। যাওয়ার সময় ফাহিমার ব্যবহৃত মুঠোফোন সাথে করে নিয়ে যায় এবং সিম পরিবর্তন করে ব্যবহার করে। পরে তার বিবস্ত্র ও ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তার পেটে বিদ্ধ অবস্থায় একটি চুরি উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনার পর মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে সেলিমের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে চট্টগ্রামের চাটগাঁও থানার মৌলভী পুকুরপাড় এলাকায় একটি টিনশেড ঘর থেকে সেলিমকে আটক করা হয় ।
উল্লেখ্য, বুধবার রাতে নোয়াখালী সদর উপজেলার পূর্ব শুল্লকিয়া গ্রামের জহিরুল হকের মেয়ে পারভীন আক্তার ফাহিমাকে (১৭) কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
Leave a Reply