নোয়াখালী থেকে নবীন:: নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ভোটের দিন রাতে গণধর্ষনের ঘটনার মূল ইন্ধন দাতা সাবেক ইউপি সদস্য রুহুল আমিন সহ আরো দুইজনকে বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এনিয়ে এই মামলায় এজাহারভ’ক্ত ৪ জন সহ মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এ দিকে এ ঘটনার বিচারের দাবীতে নোয়াখালী সচেতন ছাত্র সমাজের ব্যানারে দুপুরে জেলা শহর মাইজদী টাউনহল মোড়ে এক মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
এর আগে বুধবার রাতে পুলিশের চট্টগাম রেঞ্জের ডিআইজি গোলাম ফারুক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং নোয়াখালী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভুক্তভোগী ওই নারী ও তার স্বামীকে দেখতে যান। ভিকটিমের বাড়ীতে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
রুহুল আমিন সুবর্ণচর উপজেলার চর জুবলী ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামের মৃত খুরশিদ আলমের ছেলে। তিনি সুবর্ণচর উপজেলা চর জুবলী ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ছিলেন। তাকে সদর উপজেলার ওয়াপদা বাজারে একটি মুরগির খামার থেকে গ্রেফতার করা হয় ।
গ্রেপ্তারকৃত বেচু(২৫) মধ্যম বাগ্যা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। বেচু এই মামলার ৫ নম্বর আসামী। তাকে সেনবাগ উপজেলা থেকে গ্রেফতার করা হয় ।
এর আগে বুধবার কুমিল্লার বরুরা উপজেলার মহেষপুরের একটি ইটভাটা থেকে মামলার প্রধান আসামী সোহেলকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে লক্ষীপুরের রামগতি উপজেলা থেকে মামলার তিন নম্বর আসামী স্বপনকে(৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার মামলার ছয় নম্বর আসামী বাসু গ্রেপ্তার হয়।
অতিরিক্ত ডিআইজি ( অপারেশন এন্ড ক্রাইম) মো: আবুল ফয়েজ জানান, আমরা এ পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদেরকে ও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। আমরা অপরাধীকে অপরাধী হিসাবে বিবেচনা করি। দলের সাথে কি সম্পৃক্ততা আছে তা বিবেচ্ছ নয়।
পুলিশ জানিয়েছে, গত রোববার রাতে চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামের সোহেল, হানিফ, স্বপন, চৌধুরী, বেচু, বাসু, আবুল, মোশারেফ ও ছালাউদ্দিন ৪০ বছর বয়সী এক নারীর বসত ঘর ভাংচুর করে। এক পর্যায়ে তারা ওই নারীরর স্বামী ও মেয়েকে বেঁধে রেখে তাকে ঘরের বাইরে নিয়ে গণধর্ষণ করে ও পিটিয়ে আহত করে। পরদিন ওই নারী ও তাঁর স্বামীকে ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী ৯ জনকে আসামি করে চরজব্বার থানায় মামলা দায়ের করেন।
Leave a Reply