নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চর জব্বর থানা কোয়ার্টার থেকে শিপ্রা রানী দাস (২২) নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত লাশ আজ দুপুর ২টায় উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত শিপ্রা রানী দাস কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার উপজেলার ফুলতলী গ্রামের মৃত অনিল চন্দ্র দাসের মেয়ে। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে শিপ্রা ছোট ছিল। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত। তার স্বামী রাজিব দে চট্্রগ্রাম মেট্রোপলিটনে পুলিশ সদস্য হিসেবে কর্মরত আছে।
শিপ্রা রানী দাস এর মা সরলা রানী দাস তার মেয়ের গলায় ফাঁস দেওয়ার কথা শুনে, কুমিল্লা থেকে চরজব্বর এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন। তিনি জানান, শিপ্রার বাবা কয়েক বছর আগে মারা যায়। ২০১৪ সালে শিপ্রা বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করে। দেবীদ্বার এলাকায় রাজিবের সাথে প্রেমের সূত্র ধরে ২০১৭ সালের ১০জুলাই তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় রাজিবকে নগদ ১’লাখ টাকা, ৪ভরি স্বর্ণ ও আসবাবপত্র দেওয়া হয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, রাজিব মাদকাসক্ত ছিল এবং বিভিন্ন সময় টাকার জন্য শিপ্রাকে মারধর করতো।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহেদ উদ্দিন জানান, শিপ্রা রাণী দাস চর জব্বর থানায় প্রায় ৬ মাস আগে যোগদান করে। থানা কোয়ার্টারের একটি কক্ষে শিপ্রা রানীসহ পাঁচ নারী পুলিশ সদস্য থাকতো। তাদের মধ্যে একজন ছুটিতে রয়েছে। আজ দুপুরে অপর তিনজন খাওয়া আনার জন্য কক্ষের বাহিরে গেলে, শিপ্রা ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে, অন্য নারী পুলিশ সদস্যরা দরজা বন্ধ থাকার বিষয়টি জানালে, দরজা ভেঙে, গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
শিপ্রার মা সরলা রানী দাসের অভিযোগের বিষয়ে তিনি জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। অভিযোগ পাওয়া গেলে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply