নোয়াখালী প্রতিনিধি :নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নে শারমিন আক্তার রিতু (২০) নামে এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শারমিনকে হত্যার করে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে তার স্বামী মোশারফ হোসেন বাহাদুর পালিয়ে যায় বলে শারমিনের মায়ের অভিযোগ ।
এ ঘটনায় গৃহবধুর শ্বশুর আবুল কালাম (৪৪) ও শ্বাশুড়ী আরাধনী (৪০) কে আটক করেছে পুলিশ
শুক্রবার দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। । গৃহবধুর স্বামী এঘটনার পর পর এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। গৃহবধু শারমিন আক্তার রিতু উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আদর্শনগর গ্রামের কালা মিয়ার নতুন বাড়ীর মোশারফ হোসেন বাহাদুরের স্ত্রী।
জানাযায়, ২০১৭ সালে চরফকিরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড চরকালী গ্রামের কামাল মেস্তরীর নতুন বাড়ীর ফখরুল ইসলাম সবুজের মেয়ে শারমিন আক্তার রিতুর সাথে একই ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ওমান প্রবাসী মোশারফ হোসেন বাহাদুরের সাথে বিবাহ হয়। স্বামী বাহাদুর ২৪দিন আগে ওমান থেকে বাড়ীতে আসে। আসার পর থেকে তাদের মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে ঝগড়া বিরোধ হতো বলে জানাযায়। তাদের এখন পর্যন্ত কোন সন্তান নাই।
শারমিনের মা তৈয়বের নেছা’র অভিযোগ করে বলেন, বিবাহের পর থেকে শারমিনের শ্বশুর বাড়ীর পক্ষ যৌতুকের দাবীতে তার মেয়েকে চাপ দেয়া হয়। শারমিন তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে বিভিন্ন ভাবে শারিরীক ও মানষিক ভাবে নির্যাতন করা হতো। আমরা সামাজিক ভাবে এ প্রতিকার চেয়েও কোন সমাধান পাইনি। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়ে শারমিনকে হত্যার করে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে তার স্বামী মোশারফ হোসেন বাহাদুর পালিয়ে যায়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, সংবাদ পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে শারমিনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শারমিনের মায়ের অভিযোগ থাকায় তার শ্বশুর ও শ্বাশুড়ীকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
Leave a Reply