নোয়াখালী থেকে নবিন :: নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী একাংশ) আসনের সোনাইমুড়ী বাজারে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিএনপি মনোনিত প্রার্থী ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন গুলিবিদ্ধ’সহ উভয় পক্ষের অন্তত ২৬জন আহত হয়েছে। এসময় ৩টি মোটরসাইকেলে আগুন ও বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করা হয়েছে। শনিবার বিকেল ৫টার দিকে সোনাইমুড়ী আনোয়ারা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, ইকবাল হোসেন রুবেল (৩৫)মা. সোহেল (৩০), দিপু( ৪০)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে নোয়াখালী-১ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী এইচ এম ইব্রাহিম ঢাকা থেকে চাষীরহাটে পৌঁছলে দলীয় নেতাকর্মীরা শোভাযাত্রা সহকারে তাকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যায়। বিকালে সোনাইমুড়ী আনোয়ারা কমিউনিটি সেন্টার এলাকায় পথসভা করে বিএনপি প্রার্থী মাহবুব উদ্দিন খোকন। পথসভা চলাকালে একদল লোক হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এসময় বাজারে ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়েন্ত্রণে আনে। সোনাইমুড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ারুল হক কামাল অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে পথসভার পিছন থেকে হামলা ও গুলি চালায়। এসময় ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন গুলিবিদ্ধ’সহ দলের অন্তত ২০জন নেতাকর্মী আহত হয়।
ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বর্তমানে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানায়, ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকেনের শরীরে শর্টগানের চররা গুলি রয়েছে। সোনাইমুড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মমিনুল ইসলাম বাকের বিএনপির অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, বিকেলে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠান থেকে ফিরছিলেন তারা। এসময় তারা সোনাইমুড়ী বাজারে পৌঁছলে বিএনপির ৫’শতাধিক নেতাকর্মী একত্রিত হয়ে তাদের উপর হামলা চালিয়ে তাদের ৬ নেতাকর্মীকে পিটিয়ে জখম ও তিনটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে।
এবিষয়ে কথা বলতে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মজিদের নাম্বারের একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি কল কেটে দেন।
Leave a Reply