নোয়াখালী থেকে নবীন : আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পক্ষে নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলা) আসনে দলীয় মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করলেন নির্বাচনী এলাকার নেতারা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার বসুরহাট বাজারে আনন্দ র্যালি করেছে স্থানীয় নেতাকর্মীরা। অনুষ্ঠিত এই র্যালীতে বসুরহাট পৌর মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা, উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খীজির হায়াত খান, সেক্রটারি নুর নবী চৌধুরী ও সাবেক ছাত্রনেতা জহিরুল ইসলাম তানভির সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আসন্ন ২৩ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রির প্রথম দিনে ধানমন্ডি ৩/এ কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতারা।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিগত নির্বাচনগুলোর ন্যায় এবারও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৭২, তথা নোয়াখালী-৫ আসনটিতে দলের পক্ষে লড়বেন। নোয়াখালী-৫ জেলার একমাত্র গুরুত্ব¡পূর্ণ আসন হিসেবে বিবেচনায় রয়েছে।
এ আসনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক উপরাষ্ট্রপতি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের নির্বাচনী এলাকা হওয়ায় এ আসনকে ভিআইপি আসন বলা হয়।
এ আসনটি দুটি উপজেলা ও দুটি পৌরসভা (কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার একটি পৌরসভা আট ইউনিয়ন ও কবিরহাট উপজেলার এক পৌরসভা ও সাত ইউনিয়ন) নিয়ে গঠিত।এ আসনে ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আবু নাছের চৌধুরী নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৭৮, ৮৬, ৮৮, ৯১, ২০০১ সালে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ মোট ৫ বার বিজয়ী হন, তবে ৯১ ছাড়া সব কটি নিয়ে বিতর্ক আছে। তারপর ১৯৯৬ সালে এ আসনে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে হারিয়ে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ওবায়দুল কাদের। নির্বাচিত হয়ে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের যুব, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০০৮ ও ২০১৪ সালে পুনরায় মওদুদ আহমদকে পরাজিত করে দ্বিতীয় ও তৃতীয়বার তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং দেশ ও সরকারের সর্বাধিক মন্ত্রনালযয়ের দায়িত্ব পান। দেশের সবচেয়ে বড় দল আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি নির্বাচিত হন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৫ আসনে ভোটের হিসাবে ওবায়দুল কাদের খুবই শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। দল ক্ষমতায় থাকার সুবাধে সারা দেশের মতো নিজ নির্বাচনী এলাকায় বড় বড় উন্নয়নমূলক কাজ বিশেষ করে নদী ভাঙনরোধ, মুছাপুর ক্লোজার, সোনাপুর-জোরারগঞ্জ সড়ক, নোয়াখালীর দুঃখ নোয়াখালী খাল পুনঃসংস্কারসহ স্কুল, কলেজ, মসজিদ মাদরাসা, রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ ও স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড হয়েছে।
পাশাপাশি এলাকায় নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করায় দলীয় নেতা-কর্মীরা সাংগঠনিকভাবে অনেক সক্রিয়। তার অনুপস্থিতে দলীয় নেতারা উঠান বৈঠক ও ভোটারদের নিয়মিত সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে মতবিনিয় সভা সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছেন। বিগত ১০ বছরের উন্নয়ন অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ।
এছাড়া ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলার নেতৃবৃন্দ ও এবার সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।
Leave a Reply