বাহুবলে মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবল কারাগারে

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জের বাহুবলের মাদ্রাসার ছাত্রীকে বিয়ে প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ কনস্টেবল মোঃ নবীর হোসেনকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত।বুধবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ মাফরোজা পারভীনের আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তার জামিন না মঞ্জন করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেয়।

মামলার বিবরণে জানাযায়, ২০১৫ সালের ২০ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সুলতাসী গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুল আলীর বাড়িতে তার এক আতা¥ীয় সাথে বেড়াতে যান বাহুবলা উপজেলার কাজীহাটা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আউয়ালের ছেলে সিলেট এসএমপি কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল নবীর হোসেন। সেখানে শোভার সাথে তার পরিচয়।

এ সময় নবীর হোসেন তার চাচাতো বোনের কাছ থেকে শোভার মোবাইল নাম্বার নেন নবীর হোসেন। পরে সে প্রতিদিন শোভাকে ফোন করে বিরক্ত করতো। এতে শোভা তার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে তাকে বিরক্ত না করার জন্য নবীর হোসেনকে অনুরোধ করেন। কিন্তু নবীর হোসেন তারপর শোভাকে বিরক্ত করছিল।

এক পর্যায়ে শোভা তার প্রতি দুর্বল হয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। ২০১৬ সালের ১০ জানুয়ারী নবীর হোসেন ফোন করে শোভাকে সিলেটে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে সে শোভাকে কয়েক দিনের মধ্যে বিয়ে করবে প্রলোভন দেয় এবং এ বিষয়টি কাউকে না জানাতে অনুরোধ করে। এরপর আবার সে ৫ফের্রুয়ারী, একই বছরের ১৪ এপ্রিল, ১৩ মে ধর্ষণ করে। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৫ ফের্রুয়ারী রাত ১১টায় আবার নবীর হোসেন শোভার বাড়িতে এসে তাকে বিয়ে করে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ধর্ষণ করে।

ধর্ষণের ফলে শোভা ৪বার গর্ভের সন্তান ধারণ করলে নবীর হোসেন তাকে ঔষধ সেবন করিয়ে নষ্ট করে। পরবর্তীতে বাধ্য হয়ে সে ৭ ফের্রুয়ারী হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ আদালতের মামলা দায়েরের পরামর্শ দেন।

এ প্রেক্ষিতে তিনি গত ১৮ ফের্রুয়ারী আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি এফআইআর ভুক্ত করে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন। এর মধ্যে নবীর হোসেন হাইকোর্ট থেকে এক সপ্তাহের জামিন নিয়ে আসেন। হাইকোর্টের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আজ দুপুরে সে আদালতে আত্মসমপণ করলে শুনানী শেষে বিকেলে বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

সরকার পক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকে আবুল হাশেম মোল্লা মাসুম এর সত্যতা স্বীকার করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা