মুনিরা পারভীন: বৃটেনের ওয়েলসের ঐতিহ্যবাহী কার্ডিফ শহরে মাথা উঁচু করে দাঁড়ালো ইন্টারন্যাশনাল মাদার ল্যাংগুয়েজ মনুমেন্ট তথা শহীদ মিনার..। ২০০৭ সালে ওয়েলসের রাজধানী কার্ডিফ শহরের কমিউনিটির দীঘদীনের সপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্দ্যোগ নেওয়া হয়েছিলো.। দশ বছরের নিরলস প্রচেষ্টার পর ২০১৭ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি এই প্রজেক্ট বাস্তবায়নে কার্ডিফের সিটি হলে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বতমান শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি সহ বিশিষ্টজনের উপস্থিতিতে এক গালা ডিনারপাটিতে প্রতিস্রতি কারীদের নামের তালিকা ঘোষণা করা হয়.। ২০১৮ সালের ৫ ই নভেম্বর বৃটেনে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিজএকেলেন্সি নাজমুল কাওনাইন. কার্ডিফের লড মেয়র ডায়ান রিস ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ ও বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। স্থানীয় কাউন্সিলের নানাবিদ জটিলতাকে দীর্ঘদিন মোকাবেলা করে শহরের ঐতিহ্যবাহী গ্রেইঞ্জমোর পার্কে কার্ডিফ কাউন্টি কাউন্সিলের প্রদান করা নির্ধারিত জায়গায় বাঙালী জাতির অহঙ্কার শহীদ মিনার আজ পুরাপুরি দৃশ্যমান.। ২০১৯ সালের এপ্রিলের দিকে মানণীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার মাধ্যমে এই শহীদ মিনার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ফাউন্ডার কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। গতকাল বৃটেনের বামিংহামের সহকারী হাইকমিশার নাজমুল হক. চ্যানেল এস এর চেয়ারম্যান আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী ও বামিংহাম হাইকমিশনের কনসূলার কমকর্তা রেজাউল করিম.কার্ডিফর শহীদ মিনারের কাজ পরিদর্শনে এসেছিলেন। পরিদর্শনকালে উনারা এই মহতি কাজের ভূয়শী প্রসংশা করে সবাইকে সহযোগিতা করার আহবান জানান। এই সময় মনুমেন্ট ফাউন্ডার ট্রাষ্ট কমিটির চেয়ারম্যান কমিউনিটি লিডার এম আনোয়ার আলী. মনুমেন্ট ফাউন্ডার ট্রাষ্ট কমিটির জেনারেল সেক্রেটারী সাংবাদিক মোহাম্মদ মকিস মনসুর. মনুমেন্ট ফাউন্ডার ট্রাষ্ট কমিটির ট্রেজারার আনহার মিয়া. ফাউন্ডার ট্রাষ্টি শেখ মোহাম্মদ তাহির উল্লাহ. ফাউন্ডার ট্রাষ্টি মোহাম্মদ মুজিব. ফাউন্ডার ট্রাষ্টি আসাদ মিয়া. ওয়েলস চেম্বার অব কমার্স এর সভাপতি দিলাবর এ হোসাইন. শাহ গোলাম কিবরিয়া. সেলিম আহমদ. শাহ শাফি কাদির. আবুল কালাম মুমিন. নুরুল আলম চুনু. ফরহাদ মিয়া. আব্দুর রউফ তালুকদার. কবির মিয়া. আসরাফ রহমান. আব্দুল মুত্তালিব. ও বদরুল মনসুর সহ কমিউনিটির অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন। আজকের বৃটেনের ওয়েলসের কমিউনিটির এই সপ্নের শহীদ মিনার বাস্তবায়নের পিছনে অনেকেই করে যাচ্ছেন অক্লান্ত পরিস্রম. অনেকেই ফাউন্ডার ট্রাষ্টি. লাইফ মেম্বার ও ফ্রেন্ডস অব মনুমেন্ট হিসাবে দিয়েছেন অর্থ.। আবার অপ্রিয় হলে সত্য যে. শহীদ মিনার যাতে কার্ডিফে না হয় শহীদ মিনার বিরোধী একটি চক্র শুরু থেকেই করে আসছিলো নানা ফন্দি. ফিকির. বিভিন্ন মসজিদ ও সেন্টারে গিয়ে ইসলামের দোহাই দিয়ে করেছে দস্তগত সংগ্রহ অভিযান.। পরে সংগ্রহকৃত দস্তগত সহকারে কাউন্সিলে জমা দিয়েছে পিটিশন.। সব চক্রান্তকে মোকাবেলা করে কমিটির নিরলস প্রচেষ্টায় শহীদ মিনারের কাজ যখন দ্রুত চলছে.। এখন আবার জনগন যাতে টাকা না দেয় এজন্য একই দ্রুষ্ট চক্র চালাচ্ছে নানা নেগেটিভ ক্যাম্পেইন.।। ফাউন্ডার ট্রাষ্ট কমিটির চেয়ারম্যান আলহাজ্জ্ব আনোয়ার আলী ও ফাউন্ডার ট্রাষ্ট কমিটির ডেপুটি চেয়ার মোহাম্মদ সেরুল ইসলাম সহ কমিটির নেতৃবৃন্দ এসব দ্রুষ্ট চক্রের কথায় কান না দিয়ে এই মহতি কাজে নিধারিত ফি পাঁচ হাজার পাউন্ড দিয়ে ফাউন্ডার ট্রাষ্টি. এক হাজার পাউন্ড দিয়ে লাইফ মেম্বার.পাঁচ শত পাউন্ড দিয়ে জেনারেল মেম্বার ও এক শত পাউন্ড দিয়ে ফ্রেন্ডস অব মনুমেন্ট হয়ে গর্বিত ইতিহাসের অংশীদার হওয়ায় জন্য কমিউনিটির সবার প্রতি বিনীত ভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন.। শহীদ মিনার আনুষ্ঠানিকভাবে কবে উদ্ভোধন করা হচ্ছে এই প্রশ্নের জবাবে ইন্টারন্যাশনাল মাদার ল্যাংগুয়েজ মনুমেন্ট তথা শহীদ মিনার ফাউন্ডার ট্রাষ্ট কমিটির জেনারেল সেক্রেটারী সাংবাদিক মোহাম্মদ মকিস মনসুর আমাদের এই সপ্নের শহীদ মিনার দৃশ্যমানের পিছনে শুরু থেকেই কাউন্সিলার দিলওয়ার আলী. ডিজাইনার কাউন্সিলার মাইক সহ কমিটির যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে আসছেন এবং যারা ইতিমধ্যে টাকা দিয়েছেন সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন পুরাপুরি কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আগামী এপ্রিলের ভিতরেই মানণীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার মাধ্যমে এই শহীদ মিনার যাতে উদ্বোধন করা।যায় এই লক্ষ্যে কমিটি কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি দূঢ়তার সাথে উল্লেখ করেন.। ঐতিহাসিক এই প্রজেক্ট নির্মাণে গর্বিত অংশীদার হওয়ার লক্ষ্যে নিধারিত ফি দিয়ে স্পন্সর করার জন্য যে কেউ এগিয়ে আসতে পারবেন বলে সেক্রেটারি মোহাম্মদ মকিস মনসুর এখনো সু্যোগ রয়েছে বলে এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
Leave a Reply