মোঃ সুমন আলী খান, নবীগঞ্জ থেকে ॥ গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে হবিগঞ্জের চা বাগানগুলোতে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণে স্বস্তিতে রয়েছেন বাগান সংশ্লিষ্টরা। হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ, চুনারুঘাট, মাধবপুর ও বাহুবলের কয়েকটি চা বাগানে ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টিভেজা চায়ের কুঁড়িতে অনন্য সৌন্দর্য্যের হাতছানি। তেলিয়াপাড়া চা কারখানায় সবুজ কুড়ির স্তুপ। সব প্রক্রিয়া শেষে কুড়িগুলো রয়েছে বাজারজাতের অপেক্ষায়।
চা বাগান সূত্রে জানা যায়, এ বছর হবিগঞ্জ জেলার ২৫টি চা বাগানে সোয়া এক কোটি কেজি চা পাতা উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বাগানগুলোতে উৎপাদন শুরু হওয়ায় এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের আশাবাদ বাগান কর্তৃপক্ষের। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বরজিৎ ফারসী জানান, কয়েকদিনের বৃষ্টিতে চা বাগানগুলোর জন্য অনেক ভালো হয়েছে।
এ সময়টাতে বৃষ্টি না হলে পাতা লালচে রঙ ধারণ করাসহ গাছে বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। তবে এবার সঠিক সময়ে বৃষ্টি হওয়ায় বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত থাকবে গাছ এবং উৎপাদনও ভাল হবে।
হবিগঞ্জ জেলার সকল চা বাগানের আইন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের জানান, চা শিল্প প্রকৃতি এবং শ্রমিকের ওপর নির্ভরশীল। প্রকৃতির আচরণ যদি ভাল হয়, তাহলে উৎপাদন ভাল হয়। এ বছর যদিও বিলম্বে বৃষ্টিপাতের দেখা মিলেছে। তারপরও বাগানগুলোতে আশানুরূপ উৎপাদন হবে। দেউন্দি চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক দেবাশীষ দাশ জানান, বৃষ্টি হওয়াতে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কমেছে।
দুই সপ্তাহ পর এই বৃষ্টির পুরোপুরি সুফল পাওয়া যাবে। অন্যান্য বছর আরো আগেই বৃষ্টি হয়। ফলে এই সময়ে বাগানের উৎপাদন থাকতো সর্বোচ্চ পর্যায়ে। যেহেতু এখনও মৌসুমের শুরু অবস্থা, তাই যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে তাহলে মৌসুম শেষে অনেক ভালো উৎপাদন হবে। এ বছর তার বাগানের লক্ষ্যমাত্রা ১০ লাখ ৫০ হাজার কেজি চা উৎপাদন।
Leave a Reply