ব্রিটেনে করোনা ভ্যাকসিন:মানুষের শরীরে করোনা প্রবেশ করিয়ে পরীক্ষা!

মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, লন্ডন : কোনো রোগের ভ্যাকসিন আবিস্কারের ক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে ইঁদুর বা অন্য পশুদের শরীরে ঐ রোগের ভাইরাস প্রবেশ করিয়ে এমন পরীক্ষা করা হয়। ভাইরাল স্ট্রেন ঢুকিয়ে তারপর ভ্যাকসিনের ডোজ দিয়ে গুণমান যাচাই করেন বিজ্ঞানীরা। ভাইরাস কতটা নিষ্ক্রীয়, কী পরিমাণ অ্যান্টিবডি তৈরি হল সে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এক্ষেত্রে নৈতিকতা এবং নিরাপত্তার ব্যাপারও জড়িত থাকে। কিন্তু, করোনা সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে, ভাইরাস যত দ্রুত জিনের গঠন বদলাচ্ছে তাতে স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে ভাইরাস ঢুকিয়ে পরীক্ষা করার পরিকল্পনা নিয়েছেন উত্তর-পূর্ব ইংল্যান্ডের ডারহাম ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। খবর: ডেইলি মেইল/মিরর

ডারহামের গবেষকরা বলছেন, এই গবেষণার জন্য বছর কুড়ির দুই তরুণকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তবে শরীরে ভাইরাস প্রবেশ করালে প্রাণ সংশয়ের সম্ভাবনা থাকবে কিনা সে প্রশ্নও জোরালো হয়েছে। নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বায়োকেমিস্ট সীমা শাহ বলেছেন, যে কোনও বৈজ্ঞানিক গবেষণায় চ্যালেঞ্জ নেওয়া জরুরি। ভিন্ন পথে গিয়ে পরীক্ষা না করলে সফলতা কখনও আসে না। একপেশে পরীক্ষা নিরীক্ষায় সিদ্ধান্ত নিলে তা আজীবন কার্যকরী নাও হতে পারে। তবে নিরাপত্তার দিক খতিয়ে দেখে অল্পসংখ্যক মানুষের উপরে আগে এই পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে।
অক্সফোর্ড এই ধরনের প্রস্তাব শুরুতে দিলেও তা কার্যকরী হয়নি। ফাইজার বলছে, কোনও ইচ্ছা নেই তাদের। মোডার্না বায়োটেক জানিয়েছে, নতুন গবেষণায় তারা উৎসাহী। তবে সরাসরি সার্স-কভ-২ ভাইরাল স্ট্রেন ঢোকানো হবে না মানুষের শরীরে। বদলে ল্যাবরেটরিতে তৈরি করা সিন্থেটিক ভাইরাল স্ট্রেন ঢুকিয়ে এই পরীক্ষা করা যেতে পারে।
ফরাসি কোম্পানি ভালনেভা এসই-র চিফ একজিকিউটিভ অফিসার টমাস লিনজেলবাক বলেছেন, নৈতিকতা ও নিরাপত্তা সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। কোনও গবেষণায় প্রাণের ঝুঁকি আছে মনে করলে সেটা করা হবে না। সুরক্ষাবিধি খতিয়ে দেখে তবেই নতুন পরীক্ষার কথা ভাবা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা