মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, লন্ডন: ইইউ-ইউকে বিচ্ছেদের পর বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে মতৈক্য হলেও ৩টি ইস্যু এখনও সমঝোতায় পৌঁছায়নি। উরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বের হবার জন্যে ২০১৬ সালের জুনে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ব্রিটিশ জনগণ। প্রায় সাড়ের চার বছর পর গত জানুয়ারিতে হয় ব্রেক্সিট। আর এই ডিসেম্বরে শেষ হবার কথা ব্রেক্সিটের ট্রানজেশন পিরিয়ড। কিন্তু এখনো বাণিজ্য চুক্তি চুড়ান্ত করতে পারেনি দুপক্ষ। এ নিয়ে শুক্রবার রাত পর্যন্ত বৈঠক হয়েছে লন্ডনে।
সপ্তাহব্যাপি বৈঠক শেষে শনিবার সকালে শূণ্যহাতে লন্ডন ত্যাগ করেছেন ইইউর প্রধান সমঝোতাকারী মিশেল বার্ণিয়ার। ফিশিং, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এবং গভর্ণেন্স এই তিনটি জায়গায় সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেননি দু পক্ষের প্রধান সমঝোতাকারী। বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে এখনো যে তিনটি বিষয় ঝুলে রয়েছে তার মধ্যে বড় ইস্যু হল ফিশিং। সমুদ্রে ব্রিটিশ জলসীমায় মাছ ধরার সুযোগ ছাড়তে চাচ্ছে না ইইউভুক্ত দেশগুলো। বিশেষ করে ফ্রান্স এই সুযোগটি হাত ছাড়া না করার জন্যে শক্ত অবস্থানে রয়েছে।
ব্রিটেন একাই মাছ ধরবে আর বিক্রি করবে এটা ইইউভুক্ত দেশগুলো মেনে নিতে পারছে না। এছাড়াও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এবং গভর্ণেন্স ইস্যুতেও কোনো সমঝোতা হয়নি। এদিকে দুই সমঝোতাকারীর বৈঠক শেষে শনিবার বিকেলে ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। রোববারও তারা কথা বলবেন এবং প্রয়োজনে সোমবার থেকে আবারো শীর্ষ পর্যায়ে বৈঠক শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে সাবেক ব্রেক্সিট সেক্রেটারী ডেভিড ডেভিস বলেছেন, কুটনীতি নয়, ঝুলে থাকা বিষয়গুলো নিয়ে রাজনৈতিক নেতাদেরকেই কথা বলতে হবে। না হলে সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হবে না। ইইউর সঙ্গে চুক্তি হলে কোনো ট্যাক্স পরিশোধ ছাড়াই কেনা-বেচা করা যাবে। কিন্তু বাণিজ্য চুক্তি হোক বা না হোক, ২০২১ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে ইইউ এবং ইউকের সীমান্তে বিশাল পরিবর্তন আসবে। ব্যবসায়ীরা এখনো সেই সম্ভাব্য পরিবর্তনের স্বচ্ছ কোনো ধারণাই পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করে আসছেন।
পহেলা জানুয়ারি থেকে সীমান্তে মালবাহী ট্রাকগুলোকে অতিরিক্ত পরীক্ষা-নীরিক্ষা এবং নতুন করে কর পরিশোধ করতে হবে। এ কারণে মালবাহী লরিগুলোর দীর্ঘ লাইন পড়ে যাবে। অপেক্ষমান লরিগুলোকে পার্কিং সুবিধা দেওয়ার জন্যে কেন্টে প্রায় ১০ হাজার পার্কিং সুবিধা নিয়ে তৈরী হচ্ছে নতুন পার্ক।
Leave a Reply