এসটিভি ডেস্ক:: তথ্য প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম বলেছেন, ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, গুগলসহ সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া, মিথ্যা বানোয়াট তথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে সরকার।তিনি বলেন, ‘আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই তথ্য মন্ত্রণালয় গঠিত গুজব মনিটরিং সেল সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়ে দেবে এই তথ্যটি গুজব, সংবাদটি ভুয়া।
সেভাবে সংবাদ মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির উত্থাপিত সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের ওপর দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তারানা হালিম বলেন, সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে, নাসিরনগরে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করা হয়েছে, এরকম হাজার হাজার গুজব ছড়ানো হয়েছে। নির্বাচনের আগে বিএনপি-জামায়াত সব সময়ই এ ধরনের কাজ করে থাকে। ৩০০টি ভুয়া ফেসবুক পেজ তারা দেশের বাইরে থেকে কার্যকর রেখেছে। তবে সোস্যাল মিডিয়ার বিষয়টি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের। তাই বিটিআরসি এ ধরনের কনটেন্ট ফিল্টারিং করে থাকে। তাদের সহযোগিতা দিয়ে থাকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেল (এনটিএমসি)।
তাছাড়া একটি টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের অধীনে একটি প্রজেক্ট রয়েছে। যার মাধ্যমে দেশের ভেতর থেকে যেসব কনটেন্ট প্রবেশ করবে সেগুলো ফিল্টার করতে পারবে। এগুলো আইআইজির মাধ্যমে ফিল্টার করা হয়। কিন্তু বিদেশের কনটেন্টগুলো ফিল্টার করা খুব কঠিন হয়ে যায়। সেজন্য একটি প্রকল্প এবং ইকুইপমেন্ট হাতে নেওয়ার কথা রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা নিবিড়ভাবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং আইসিটিতে যোগাযোগ অব্যহত রাখব। বিষয়টি সামনে রেখে তড়িৎ গতিতে দ্রুততার সঙ্গে এক সপ্তারের মধ্যে মনিটরিং নয়, গুজব সনাক্তের জন্য একটি সেল গঠন করে ফেলেছি। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ডিএফপির উপ-প্রধান তথ্য অফিসার, সিনিয়ার তথ্য অফিসার, ফিচার রাইটারদের নিয়ে সেল গঠন করা হয়েছে।
এই কমিটিতে ৬ জন তথ্য অফিসারও রয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই বৃহৎ কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য বিশাল টিম প্রয়োজন। আমাদের পিআইবিতে লোকবল সংকট। সেখানে লোকবল বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমাদের টেকনিক্যাল সাপোর্ট গ্রুপের দরকার রয়েছে। নীতিমালা করার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা পুনরায় নির্বাচিত হয়ে আসলে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পূর্ণাঙ্গ সেল গঠন করব। দক্ষ জনবল নিয়ে সংবাদপত্রের পাশাপাশি ওই সেল তথ্য প্রদান করবে।
Leave a Reply