কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী লোভাছড়া পাথর কোয়ারীতে আটকা পড়েছে প্রায় ৫০ লক্ষ ঘনফুট পাথর। এতে করে ইজারাদার সহ ব্যবসায়ীরা কয়েক কোটি টাকার লোকসানে পড়েছেন। জানা যায় দুর্গম পাহাড়ী এলাকার এ কোয়ারীর একমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থা নদী পথ। এখানকার ব্যবসায়ীরা শুকনো মৌসুমে কোয়ারী থেকে পাথর উত্তোলন করেন। আর বর্ষা মৌসুমে নৌকা যোগে পাথর বিক্রি করেন। কিন্তু চলমান বছরে নদীতে তুলনা মূলক পানি না থাকায় এসব পাথর আটকা পড়েছে বলে জানান স্থানীয় পাথর ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে লোভাছড়া পাথর কোয়ারীর কয়েটি মৌজা সহ বিশেষ করে সাউদগ্রাম ও ভাল্লুকমারা মৌজায় পানির অভাবে এসব পাথর আটকা পড়েছে। এতে ব্যবসায়ীরা সময় মত এসব পাথর বিক্রি করতে না পারায় তারা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। স্থানীয় পাথর ব্যবসায়ী ইউপি সদস্য তমিজ উদ্দিন জানান নদীতে পানির অভাবে এবার প্রচুর পাথর আটকা পড়েছে। কারন হিসাবে তিনি বলেন চলতি বছরে নদীতে যে কয়েকবার জোয়ার আসে সে জোয়ারে বড় ধরনের বন্যা সৃষ্টি করে। যার কারনে সেখানে ব্যবসায়ীরা পাথর সরবরাহ করতে পারেননি।
জোয়ার শেষে প্রায় মৌজার পাথর সরবরাহ করা হলেও পাহাড়ী মৌজার উল্লেখিত পাথর গুলো সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। শ্রমিক নেতা আজাদুর রহমান বলেন গত বছরের উত্তোলনকৃত প্রায় ৫০ লক্ষ ঘনফুট পাথর পানির অভাবে আটকে আছে। উল্লেখ্য লোভাছড়া পাথর মহালের লীজের মেয়াদ গত এপ্রিলে শেষ হয়। এ ব্যাপারে লোভাছড়া পাথর মহালের ইজারাদার মস্তাক আহমদ পলাশ দাবী করে বলেন তার সময়ের উত্তোলনকৃত প্রায় ৫০ লক্ষ ঘনফুট পাথর এখনো পানির অভাবে আটকা আছে।
এতে ব্যবসায়ীরা যেমন পুজির দিকদিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন তেমনি রয়েলটির দিক দিয়ে তিনিও আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। এ বিষয় তিনি মহামান্য আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন তার রিট পিটিশনের আলোকে মহামান্য হাইকোর্ট ও সুপ্রীমকোর্ট উত্তোলনকৃত পাথর সরবরাহের জন্য নিদিষ্ট যে, সময় বেধে দিয়েছিল সে সময়ের মধ্যে কিছু পাথর ব্যবসায়ীরা পাথর সরবরাহ করতে পারলেও এখনো প্রচুর পাথর আটকা আছে। এমতাবস্থায় তাকে আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে আগামী বর্ষা মৌসুম পর্যন্ত সময় দেওয়ার জন্য আকুল আহবান জানিয়েছেন।
Leave a Reply