জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি::কমিউনিটি ক্লিনিক দেশের স্বাস্থ্যসেবার অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্রামে প্রতি ৬ হাজার জনগোষ্ঠীর চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এসব ক্লিনিকে পুরুষের পাশাপাশি নারী ও শিশুর জন্য সব ধরনের চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়। বিশেষ করে প্রসূতির জন্য রয়েছে বিশেষ বিশেষ সুযোগ। মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু কমানোর লক্ষ্যেই এসব বিশেষ সুযোগ।
সারা দেশের ন্যায় জগন্নাথপুরের রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ৭টি গ্রাম নিয়ে উপজেলার শেষ প্রান্তে মেঘেরকান্দি ও রানীগঞ্জ বাজারের পাশে বাগময়না কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্ব পালন করছেন খামড়াখাই গ্রামের মৃত মেনদি মিয়ার মেয়ে মার্জিয়া বেগম সরকারের মানব সেবার লক্ষ উদ্দেশ্যেকে সামনে রেখে দিন রাত পরিশ্রম করে কাজ করে যাচ্ছেন। দুটি কমিউনিটি ক্লিনিকে পেয়েছেন সাফল্যে মেঘেরকান্দি কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রসূতির সন্তান ডেলিভারি করে অর্জন করেছেন সুনামগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ট কমিউনিটি ক্লিনিকে পরিদর্শিকা সম্মান। গত সোমবার বিকালে রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের হল রুমে দেওয়া সম্মাননা ক্রেষ্ট। সংবর্ধনা পূর্বক আলোচনা সভায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.শহিদুল ইসলাম রানার সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোহাম্মদ আব্দুল গফুরের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক গোলাম সারোয়ার। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গ্রাম আদালতের সক্রিয়কর ২য় পর্যায় প্রকল্পের জগন্নাথপুর উপজেলা সমন্বয়কারী মো. হারুন রশিদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অত্র ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য তেরা মিয়া তেরাব, অত্র ইউনিয়নের গ্রাম আদালতের সহকারী মো.শরিফুল ইসলাম।
সংবর্ধনা সভা উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যা মোছা. রুকসানা বেগম, মোছা. আম্বিয়া বেগম, মোছা. এলাছি বেগম, সদস্য মো. মাহম্মদ আলী, মো.নাজমুল হোসাইন, মো. বজলু মিয়া, মো. ইছরাক আলী, মো. কালাম হোসেন, আব্দুল জলিল, কেয়ার জিএসকে সিএইচ ডব্লিউ সদস্য মোছা. সুমী বেগম, মোছা. রাশিয়া বেগম, মোছা. শাবানা বেগম, মোছা. সুমা বেগম, বাজার ব্যবসায়ী মো. আজাদ মিয়া, মো. শামিম মিয়া, মো. মাহমুদুল করিম, জামাল উদ্দিন, আমির উদ্দিন, মো. নুরুল হক, আবুল কালাম, শাহীনুর রহমান, মো. বাদশা মিয়া, মো. মছদ্দর আলী. মো, লুদু মিয়া, ইউনিয়ন পরিষদের অফিস সহকারী পরিমল দাশ, গ্রাম পুলিশ মো. মনফর আলী সহ অত্র ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
Leave a Reply