নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালী সুবর্ণচরে গৃহবধূ পারভিন আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যার বিচারের দাবীতে মাববন্ধন করেছে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী। ঘটনার ৫ দিন পার হয়ে গেলেও থানায় কোন মামলা না নেয়ায় মানববন্ধন করে তারা।
সোমবার সুবর্ণচর উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনু্ষ্িঠত হয়।
নিহতের ভাই মনিরুজ্জামান বলেন, গত ৩ বছর আগে পারিবারিক ভাবে সুবর্ণচর উপজেলার পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের চর মজিদ গ্রামের শাহ আলমের পুত্র রুবেল হোসেন (২৮) এর সাথে ৮ নং মোহাম্মপুর ইউনিয়নের চর খন্দকার গ্রামের মোশররফ হোসেনের মেয়ে (আমার বোন) পারভিন আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পরেই যৌতুকের দাবীতে আমার বোনকে অমানুষিক নির্যাতন করে স্বামী রুবেল হোসেন, শাশুড়ী মাহফুজা খাতুন এবং রুবেলের বড় বোন জেসমিন আক্তার (৩২)। তাদের নির্যাতনে তখন আমার বোনের গর্ভে ৭ মাসের অনাগত সন্তানটি মারা যায়। বোনের সুখের কথা ভেবে নগদ ১ লাখ টাকা সহ আরো ৭০ হাজার টাকা মূল্যর আসবাব পত্র সহ তাদের দাবী অনুযায়ী বিভিন্ন জিনিসপত্র দেই।
এর পর ১ বছর একটু ভালো থাকলেও গত ৬ মাস আগ থেকে পূনরায় ২ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবীতে আমার বোনের উপর শুরু হয় অমানুষিক নির্যাতন। বিষয়টি আমাদের কে জানালে আমরা গরিব, খেটে খাওয়া দিন মজুর এতো টাকা জোগাড় করা সম্বব নয় বলে দিতে অস্বিকৃতি জানালে গত ৯ মে বুধবার বিকেল ৩ টায় আমার বোনকে তার স্বামী রুবেল হোসেনের নির্দেশক্রমে শাশুড়ী মাহফুজা বেগম এবং রুবেলের বোন জেসমিন আমার বোনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং আতœহত্যা বলে চালানোর জন্য গায়ে এবং মুখে বিষ ঢেলে দেয়। এর পর আমার বোন বিষ খেয়ে মারা গেছে মর্মে আমাদের মুঠো ফোনে জানালে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি খুনি রুবেলের বাড়ী থেকে কিছুদূর রেনু বাজার সংলগ্ন ৩ রাস্তার মোড়ে আমার বোন কে রেখে তারা পালিয়ে যায়। তখন পারভিন আক্তারকে আমরা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসা বলেন তিনি অনেক আগেই মারা গেছেন।
ঘটনার বিষয়ে আমরা মামলা করতে গেলে থানায় কোন মামলা নেয়নি এবং পোস্টমর্টেম রিপোর্ট ছাড়া মামলা নেয়া হবেনা বলে জানায় চরজব্বার থানার পুলিশ। আমরা অসহায় দরিদ্র পরিবার বলে এখনো কোন বিচার পায়নি। খুনিরা বর্তমানে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং প্রতিনিয়ত আমাদেরকর হত্যার হুমকি দিচ্ছে। বক্তারা অতি দ্রুত আসামিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবী জানান ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, যৌতুকের দাবীতে গৃহবধূ পারভিন আক্তারকে স্বামী রুবেল হোসেনের নির্দেশে শ্বাসরোধে হত্যা করে নিহতের শাশুড়ী মাহফুজা খাতুন ও জেসমিন আক্তার। এ ব্যপারে মামলা করতে গেলে মামলা নেয়নি চরজব্বর থানা পুলিশ ।
এব্যাপারে চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)সাহেদ উদ্দিনের সাথে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিন বলেন, পারভিন মেডিকেল মৃত্যু বরন করায় নোয়াখালী সুধারাম থানায় একটি মামলা হয়েছে, নিহতের কোন আত্বীয় বাদী হয়ে অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নিবো ।
Leave a Reply