হবিগঞ্জ প্রতিনিধি::৬ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ মুক্তদিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধে হবিগঞ্জ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। মুক্ত হয় হবিগঞ্জ জেলা।
১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় তেলিয়াপাড়া ডাকবাংলো থেকে সারা দেশকে মুক্তিযুদ্ধের ১১টি সেক্টর বিভক্ত করা হয়। ৩নং সেক্টরের দায়িত্ব পালন করেন তৎকালীন মেজর শফিউল্লাহ। শফিউল্লাহর নেতৃত্বে হবিগঞ্জের সীমান্ত এলাকার দুর্গম অঞ্চলগুলোতে পাকিস্থানিদের সাথে তুমুল যুদ্ধ সংগঠিত হয়। ডিসেম্বরের শুরুতে মুক্তিবাহিনী জেলা শহরের কাছাকাছি এসে পৌঁছুলে তিন দিক থেকে মুক্তিবাহীনি আক্রমন করে। ৫ ডিসেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধারা হবিগঞ্জ শহরে প্রবেশ করে এবং ৬ ডিসেম্বর ভোর রাতে পাকসেনা সহ রাজাকাররা আত্মসমর্পন করতে বাধ্য করে। মুক্তিযোদ্ধারা জানান,তারা এই দিনে হবিগঞ্জ সদর থানা কম্পাউন্ডে বিজয় পতাকা উত্তোলন করেন।
কিন্তু ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে জেলার ২৭ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। যুদ্ধে আহত হন ৩৭ জন মুক্তিযোদ্ধা। এছাড়া নিরীহ অসংখ্য মানুষ নর-নারী ও মুক্তিযোদ্ধা হানাদারদের নির্মম নিষ্ঠুরতার শিকারে শহীদ হন। এসব শহীদদের জন্য তেলিয়াপাড়া, ফয়জাবাদ, কৃষ্ণপুর, নলুয়া চা বাগান, বদলপুর, মাখালকান্দিতে বধ্যভূমি নির্মিত হয়।
স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচার কাজ শুরু হয়েছে এবং রায়ও হয়েছে কার্যকর এই দিনটি কে প্রশাসনিক ভাবে যাতে পালন করা হয় দাবী হবিগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধাদের।
Leave a Reply