মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, লন্ডন: সৌদি আরবে অনুষ্ঠিতব্য একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়েছেন লন্ডনের মেয়র সাদিক খান। সৌদি আরবের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের কারণে এ সম্মেলন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। নিজে অংশগ্রহণ না করার পাশাপাশি সেখানে কোনও প্রতিনিধি পাঠাতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
৩০ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া ‘আরবান ২০ সামিট’ শীর্ষক এ সম্মেলনের শেষ দিন ছিল ২ অক্টোবর। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুরো সম্মেলন বয়কট করেন লন্ডনের মেয়র। সৌদি আরবের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের কারণে এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক ও লস অ্যাঞ্জেলসের মেয়রও এতে অংশগ্রহণ থেকে বিরত ছিলেন।
নিজে অংশ না নিলেও সম্মেলনে অন্তত একটি প্রতিনিধি দল পাঠাবেন লন্ডনের মেয়র; এমন গুঞ্জন থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবে রূপ নেয়নি। মূলত মানবাধিকার সংস্থাগুলোর চাপেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
সৌদি আরবের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ নতুন নয়। ২০১৯ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৯টি দেশ মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য সৌদি আরবের কঠোর সমালোচনা করে। প্রখ্যাত সাংবাদিক জামাল খাশোগির নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে তারা। দৃশ্যত এমবিএস নামে পরিচিত যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশেই তাকে হত্যা করা হয়েছিল বলে প্রতীয়মান হয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৯টি দেশের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নির্যাতন, উদ্দেশ্যমূলক আটক, গুম ও বিচারবিহীন আটকাদেশের যেসব ঘটনা সৌদি আরবে ঘটছে তাতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’ পশ্চিমাদের ওই উদ্বেগে অবশ্য সৌদি আরবের মানবাধিকার পরিস্থিতির দৃশ্যমান কোনও উন্নতি হয়নি। এসব বিষয় নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোও সোচ্চার। মূলত তাদের চাপের মুখেই এ সম্মেলন বয়কট করেন সাদিক খান। সাফ জানিয়ে দেন, প্রতিনিধি হিসেবে এমনকি কোনও কর্মকর্তাকেও সৌদিতে পাঠাবেন না তিনি। কেননা, তিনি চান না মানবাধিকারের প্রতি তার অঙ্গীকার নিয়ে যেন কোনও প্রশ্ন তৈরি না হয়। সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর।
Leave a Reply