মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, লন্ডন: যুক্তরাজ্যে পড়তে আসা শিক্ষার্থীরা কোর্স শেষে দুই বছরের ওয়ার্ক পারমিট পাবেন। নতুন এ নিয়মের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্যের হোম অফিস।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, দেশটিতে পড়তে আসা শিক্ষার্থীরা তাদের কোর্স শেষ করার পর কমপক্ষে দুই বছর স্বাধীনভাবে কাজ ও পরিবারসহ বসবাসের সুযোগ পাবেন।
আগামি জুলাই থেকে এ নিয়ম কার্যকর হবে। যুক্তরাজ্যে যারা পিএইচডি বা ডক্টরাল সমমানের কোর্স করবেন তাদের ক্ষেত্রে এ ভিসার মেয়াদ হবে তিন বছর। আর গ্রাজুয়েশন শেষ করলে দুই বছরের ভিসা মিলবে। ব্রিটিশ ইমিগ্রেশনের নতুন এ নিয়ম ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে বাংলাদেশিসহ দেশটিতে বসবাসরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আবেদনযোগ্য হবে।
যুক্তরাজ্যে এলপিসি ও শিক্ষকতায় পিজিসিই-র মতো পেশাদার কোর্স সম্পন্নকারীরাও এ সুযোগ পাবেন। এর আগে ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত দেশটিতে পোস্ট স্টাডি ওয়ার্ক ভিসা চালু ছিল।
মূলত: করোনা ও ব্রেক্সিটের পর শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতেই এ সুযোগের ঘোষণা দিয়েছে লন্ডন। ব্রেক্সিটের পর ফি বেড়ে যাওয়ায় ব্রিটেনে ইউরোপ থেকে শিক্ষার্থী আসা কমবে। সে কারণে বাংলাদেশ ভারতসহ বাইরের শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতেই এ উদ্যোগ।
ব্রিটেনে নিয়মিত কোর্সে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করতে এ সুবিধা কাজে দেবে। অন্যদিকে বাংলাদেশের মতো দেশ থেকে স্বামী বা স্ত্রীকে নিয়ে ব্রিটেনে পড়তে যাওয়ার ক্ষেত্রে তরুণ দম্পতিদের উৎসাহিত করবে। নতুন নীতিমালায় এ ভিসায় থাকাকালীন সময়ের জন্য কাজের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীকে কোনও রকম স্পন্সর দেখাতে হবে না। নিয়োগদাতার স্পন্সর লাইসেন্সের শর্তও তাই প্রয়োজন হবে না। অর্থাৎ, কোর্স শেষে তারা যে কোনও জায়গায় স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন।
কোর্স চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীর স্বামী বা স্ত্রী এবং সন্তান ব্রিটেনে থাকলে তারাও দুই বা তিন বছরের করে ভিসা পাবেন। স্পাউজ এক্ষেত্রে ফুলটাইম কাজের অনুমতি পাবেন। তবে নতুন নিয়মে কোর্স সমাপ্তির পর প্রাপ্ত এ ভিসার মাধ্যমে কোনও শিক্ষার্থী নিজের দেশসহ ব্রিটেনের বাইরে থেকে কোনও স্পাউজ ব্রিটেনে আনতে পারবেন না। ডিসটেন্স লার্নিং-এর ক্ষেত্রেও করোনাকালীন সময়ের শিক্ষার্থীরা শর্তসাপেক্ষে এ সুবিধা পাবেন।
Leave a Reply