স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বিভিন্ন মেয়াদে ৬বার নির্বাচিত হয়েছেন বিশিষ্ট শিল্পপতি শংকর পাল। দীর্ঘদিন ধরে তিনি সত্যতা আর দক্ষতা সাথে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালন করে দলকে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করার পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীদের তিনি সুসম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। শুধু দল নয়, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতৃবন্দ, সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণের সাথে রয়েছে তার নিবিড় সম্পর্ক।
সু-সম্পর্কের জন্য দলের থাকা তার প্রতিপক্ষরা ভিতরে ভিতরে বিরোধীতা করলেও সরাসরি কেউ তার বিরোধীতা করেন না। অপর দিকে জাপা নেতা শংকর পালের কর্মকান্ডে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম রওশন এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী জিএম কাদের ও মহাসচিব সাবেক মন্ত্রী এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সন্তোষ। এ জন্য দলের চেয়ারম্যান তাকে ৬বার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব অর্পন করেছেন।
এছাড়াও বিভিন্ন সময় তাকে সদস্য সচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ইতো-পূর্বে তাকে দল থেকে দু’বার বানিয়াচঙ্গ আজমিরীগঞ্জ আসনে এমপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
২টি নির্বাচনেই তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। বিগত ৫জানুয়ারীর নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হওয়ার সম্ভবনা থাকলেও তাকে কেন্দ্র দখল ও ব্যাপক কারচুপি মাধ্যমে তাকে পরাজিত করা হয়। এবার তিনি মহাজোটের প্রার্থী হচ্ছে, এমন খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি দলকে সু-সংগঠিত করার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে বানিয়াচঙ্গ-আজমিরীগঞ্জের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, কবর স্থান, মন্দির, শ্মশানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যক্তিগত ভাবে অনুদান দিয়ে আসছেন।
এছাড়াও তিনি বিভিন্ন দুর্যোগ মহুর্তে ব্যক্তিগত সহযোগিতা নিয়ে এলাকার মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। ব্যক্তিগত ভাবে এসব সামাজিক কর্মকান্ড করায় তার প্রতি এলাকার জনগণ সন্তোষ্ট। হবিগঞ্জের সু-প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী জাপা নেতা শংকর পাল ব্যক্তিগত জীবনে ৩ সন্তানের জনক। তার দু’মেয়ে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত ও বিবাহিত। একমাত্র ছেলে শিমুল পাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স অধ্যায়নরত।
রাজনীতির মাঠে তার পরিবারের সদস্যরাও তাকে সর্বাতক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। অপর দিকে তার সকল কর্মকান্ডে সন্তোষ্ট জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তাকে বিগত জাতীয় কাউন্সিল শেষে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে মনোনীয়ত করেন। সর্বশেষ গত ৩০ আগস্ট তাকে পল্লীবন্ধু এরশাদ ৬ষ্ট বারের মত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করেন।
এ ব্যাপারে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বানিয়াচঙ্গ-আজমিরীগঞ্জ আসনের জাপা মনোনীত এমপি প্রার্থী শংকর পাল বলেন-পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আন্তরিক ভালবাসায় আমি তৃলমূলের কর্মী থেকে আজ নেতা হয়েছি। তিনি ও দলের সকল নেতৃবৃন্দ আমাকে ভালবাসেন বলেই আমাকে ৬বার সাধারণ সম্পাক পদে নির্বাচিত করেছেন। এজন্য আমি পল্লীবন্ধু এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম রওশন এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী জিএম কাদের ও মহাসচিব সাবেক মন্ত্রী এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ কেন্দ্রীয়, জেলা, বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড জাতীয় পার্টি নেতৃবৃন্দ প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং সকলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
এছাড়াও তিনি তার নির্বাচনীয় এলাকা বানিয়াচঙ্গ-আজমিরীগঞ্জের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি আরো বলেন-সকলের দোয়া নিয়ে পল্লীবন্ধু এরশাদের অর্পিত দায়িত্ব নিয়ে আমি জাতীয় পার্টিকে তৃণমূল পর্যায়ে শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এ জন্য দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিকসহ সকল নেতাকর্মীদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধ কাজ করতে চাই। আগামী নির্বাচনে হবিগঞ্জের ৪টি আসনেই জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করতে চাই। এমপি নির্বাচিত হলে বানিয়াচঙ্গ-আজমিরীগঞ্জকে দুর্নীতি মুক্ত অত্যাধুনিক একটি উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন জাপা নেতা শংকর পাল।
Leave a Reply