এটিএম সালাম::নবীগঞ্জের প্রবীন সাংবাদিক মানবতার সেবক এবং মানুষ গড়ার কারিগর অবঃ প্রাইমারী স্কুল শিক্ষক আব্দুল কাইয়ুম আজাদ’র দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিকাল ৩.১০ ঘটিকায় নিজ বাড়ি উপজেলার হালিতলা বারৈকান্দি গ্রামে ইন্তেকাল করেছিলেন। বুধবার (৩ অক্টোবর) সকাল ১০.১৫ ঘটিকায় হালিতলা গ্রামের জামে মসজিদের মাঠে নামাজের জানাযা অনুষ্টিত হয়েছে।
উক্ত নামাজে জানাযায় অংশ গ্রহন করেন প্রাক্তন ইউপি চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধের অন্যতম সংগঠক আব্দুর রউফ, সাবেক পৌর মেয়র অধ্যাপক তোফাজ্জল ইসলাম চৌধুরী, বর্তমান মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরী, বিশিষ্ট সমাজ সেবক শিক্ষানুরাগী আব্দুস শাহিদ, জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল মালিক, বিএনপির সাধারন সম্পাদক মুজিবুর রহমান শেফু, মাওঃ নুরুল হক নবীগঞ্জী, প্যানেল মেয়র-১ এটিএম সালাম, ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুছা, সাজু চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক এসআর চৌধুরী সেলিম, মছদ্দর আলী, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন মিঠু, এমএ আহমদ আজাদ, সাংবাদিক সরওয়ার শিকদার, এমএ মুজিবুর রহমান, আলমগীর মিয়া, শামীম আহমদ, ছনি চৌধুরী, প্রাক্তন মেম্বার রফিক মিয়া, আব্দুল আলীম ইয়াসিনী, মনর উদ্দিন, ইকবাল আহমদ বেলাল, মোশাহিদ আলী, মাসুক মিয়া, সহ সাংবাদিক, সামাজিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহন করেন। পরে তার মৃতদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এদিকে সাংবাদিক আব্দুল কাইয়ুম আজাদের মৃত্যুতে নবীগঞ্জ-বাহুবল আসনের সংসদ সদস্য এমএ মুনিম চৌধুরী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরী, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এড. আলমগীর চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল, সাধারন সম্পাক সাইফুল জাহান চৌধুরী প্রমূখ নেতৃবৃন্দসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ শোক প্রকাশ করেছেন।
মরহুম সাংবাদিক ও শিক্ষক কাইয়ুম আজাদের বর্ণাঢ্য জীবনী ঃ- নবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের হালিতলা গ্রামে এক মুসলিম সভ্রান্ত পরিবারে ১৯৪১ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতা মরহুম আব্দুল কাদির পেশায় শিক্ষক ছিলেন। মাতা মরহুমা হেলিমা বিবি ছিলেন গৃহীনি। স্বাধীনতার পুর্বে মরহুম আব্দুল কাইয়ুম আজাদ প্রাইমারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। শিক্ষকতা পেশা জীবনে স্কুলে অনুপস্থিতি বা দায়িত্বে অবহেলা বা দুর্ণীতির কোন অভিযোগ তার গায়ে আচর করতে পারেনি। সদা হাস্যজ্জ্বল ও সাদা মনের অধিকারী আব্দুল কাইয়ুম আজাদ শিক্ষকতার পাশাপাশি ১৯৬৮ ইং সনে সিলেটের তৎকালীন সাপ্তাহিক দেশবার্তায় পত্রিকার লেখনির মাধ্যমে সাংবাদিকতার মহান পেশায় নিজেকে জড়িয়ে পড়েন।
১৯৭৩ সনে সিলেটস্থ সাপ্তাহিক জনশক্তি পত্রিকায় এবং ১৯৭৪ সালে ঢাকা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক প্রাচ্য বার্তায় কাজ করেন। ১৯৯২ সালে জাতীয় পত্রিকা দেশ বাংলায় নবীগঞ্জ উপজেলা ও হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও ঢাকা মেইল, সাপ্তাহিক অপরাধ চিত্র, দৈনিক সমাচারসহ অসংখ্য স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় সফলতার সাথে কাজ করেছেন। মানবতার সেবার প্রতীক কাইয়ুম আজাদ সর্বশেষ মৃত্যুর পুর্ব পর্যন্ত দৈনিক এশিয়া পত্রিকার সহযোগি সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত অন্যানেয়র কাছে মাথা নত করেন নি শিক্ষক কাইয়ুম আজাদ। তিনি হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্টাতা সদস্য এবং নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্টাতার পাশাপাশি সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
Leave a Reply