রেজাউল করিম সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীবেষ্টিত কাজিপুরের চরাঞ্চলের প্রায় দেড় লাখ মানুষ মারাত্মক দুর্যোগ ঝুঁকিতে বসবাস করছে। প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে কোনরকম জান-মাল নিয়ে বেঁচে আছে এই মানুষগুলো। বন্যা, নদী ভাঙন, ঘূর্ণিঝড়ে এরা সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে জীবন সংগ্রামে কোনরকমে বেঁচে থাকে।
জরুরি দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্তে চরাঞ্চলের মানুষকে উদ্ধার করার জন্য কাজিপুর উপজেলা প্রশাসনসহ সরকারি বেসরকারি ভাবে উদ্যোগ থাকলেও যমুনা নদী ঘিরে রেখেছে পুরো কাজিপুর উপজেলাকে। মূল ভূখগু ছাড়াও উপজেলায় প্রায় ২২টি চর রয়েছে। এর মধ্যে মনসুরনগর, চরগিরিশ, নিশ্চিন্তপুর, তেকানী, নাটুয়ারপাড়া, শুভগাছা, মাইজবাড়ী প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। মূল ভূখগু থেকে এসব চরে যেতে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় এক থেকে আড়াই ঘন্টা পর্যন্ত সময় লাগে। এই সব চরের বাসিন্দারা প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে যমুনার করাল গ্রাস থেকে বেঁচে থাকে।
খাসরাজবাড়ীর এলাকার গোলাম রব্বানী, বেলাল হোসেন, রফিকুল ইসলাম বিএসসি, কাজিপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বকুল সরকার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুলতানা হকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চরের মানুষগুলো প্রতিনিয়তই প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে সংগ্রাম করে বেঁচে থাকে। চরাঞ্চল গুলোতে কোন উঁচু পাকা বিদ্যালয় বা আশ্রয় কেন্দ্র না থাকায় বন্যা, ঘূর্ণিঝড়ের সময় নিজ উদ্যোগেই জীবন রক্ষা করতে হয়। প্রতিবছর ভয়াবহ বন্যাসহ নদী ভাঙন,ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রকৃতিক বিপর্যয়ে পড়ে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ে এ সব চরাঞ্চলের মানুষ।
Leave a Reply