নোয়াখালী থেকে নবীন::নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির বজরা গ্রামে টিভি দেখতে গিয়ে জেঠাতো ভাইয়ের হাতে ধর্ষণের স্বীকার হয়েছে (১১) নামের এক মাদ্রাসার ছাত্রী। সে সোনাইমুড়ি উপজেলার বজরা ইউনিয়নের বজরা গ্রামের রজন আলী মুন্সী বাড়ির রিকশা চালক আহছান উল্লার মেয়ে।
রবিবার দুপরে গুরুতর অবস্থায় শিশুটিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভিকটিমের পরিবার এ ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করছেন।
ধর্ষিতার মা মারজাহান জানান, দুপুরে মাদরাসা থেকে আসার পর শিশুটি তার জেঠা মো. মনাফের ঘরে টিভি দেখতে যায়। এ সময় মেয়ে শিশুটিকে ঘরের ভিতর একা পেয়ে জেঠাতো ভাই মো. মনা মিয়া (১৭) জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। মেয়ে শিশুটি রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরে এসে তার বড় বোনকে ঘটনাটি জানায়।
পরে তারা লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখে এবং পরিচিত এক পল্লী চিকিৎসক দিয়ে গোপনে চিকিৎসা করায়। এতে মেয়ে শিশুটির রক্তপাত বন্ধ না হওয়ায় বজরা স্বস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। পরে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রবিবার দুপরে নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট্য জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।
নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসক ডা. সৈয়দ মহি উদ্দিন আজিম জানান, ধর্ষণের স্বীকার হয়ে মেয়ে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার পরীক্ষা -নিরিক্ষা ও চিকিৎসা করা হচ্ছে।
সোনাইমুড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আবদুল মজিদ জানায়, তিনি বিষয়টি জেনেছেন। হাসপাতালে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান।
Leave a Reply