হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জ জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। রোববার সকালে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ এর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তৃতা করেন হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গাজী শাহনেওয়াজ মিলাদ, হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ আব্দুল মজিদ খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা (বিপিএম সেবা), বিজিবি ৫৫ ব্যাটালিয়ান এর অধিনায়ক জাহিদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তারেক মোঃ জাকারিয়া, নবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, চুনারুঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি হারুনুর রশিদ চৌধুরী। সভায় ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ হওয়ার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন সংসদ সদস্যগণ। সংসদ সদস্যরা এলাকার উন্নয়নের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। জেলা প্রশাসক বলেন- গত নভেম্বর মাস থেকে জেলায় ডিসেম্বর মাসে মামলা অনেকটা কমেছে। তবে হত্যা মামলা বেড়েছে। নভেম্বর মাসে ৮টি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু ডিসেম্বর মাসে জেলায় ১০টি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। নভেম্বর মাসে জেলায় ১টি ডাকাতি, ২১টি নারী নির্যাতন, ২টি শিশু নির্যাতন, ২টি দাঙ্গা, ৩টি পুলিশ এসল্ট, ৩টি অপরহরণ, ২টি সিধেল চুরি, ২টি গবাদি পশু চুরি, অন্যান্য চুরি ৪টি, ধর্ষন ৫টি, মাদক ৫৩টি, ১টি চোরা চালানসহ বিভিন্ন আইনে মোট ২০৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ডিসেম্বও মাসে ১০টি খুন, ১৩টি নারী নির্যাতন, ৫টি পুলিশ এসল্ট, ৩টি সিঁধেল চুরি, ১টি গবাদি পশু চুরি, ৫টি অন্যান্য চুরি, ১টি ধর্ষণ, ৩১টি মাদক, ১টি বিস্ফোরকসহ বিভিন্ন আইনে ১৩৮টি দায়ের করা হয়েছে। নভেম্বর মাস থেকে ডিসেম্বর মাসে মামলা কমলেও এ মাসে হত্যাকান্ড পুলিশ এসল্ট মামলা বেড়েছে। সভায় জেলা প্রশাসক বলেন-গ্রাম্য দাঙ্গার কারণে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটছে। গ্রাম্য দাঁঙ্গা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। এছাড়া এ মাসে নির্যাতন হওয়ায় কারণে পুলিশ এসল্ট মামলা বেড়েছে। তিনি সব মিলিয়ে জেলায় ৪টি আসনে শান্তি ভাবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ করতে তিনি প্রশাসনের কর্মকর্তা, কর্মচারীদেরকে ধন্যবাদ জানান। সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা বলেন-ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংন্দী ও হবিগঞ্জ জেলা দাঁঙ্গা প্রবল এলাকা হিসেবে পরিচিত। এ অঞ্চলগুলোতে তৃচ্ছ বিষয় নিয়ে দাঁঙ্গা, মারামারি হয়ে থাকে। দাঁঙ্গার কারণে গত ১মাসে ১০টি খুন হয়েছে। গ্রাম্য দাঁঙ্গা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। এছাড়াও হাইওয়ে রোডে দূর্বৃত্তরা পরিবহনে ঢিল চুরে। যখন ঢিল ছুরে এ সময় নে কেউ গাড়ী না নামেন। তিনি বলেন-পর্যটক ও শিল্প এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য অচিরেই হবিগঞ্জে ট্যুরিষ্ট পুলিশ ও ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পুলিশ নিয়োগ দেয়া হবে। এছাড়াও মাধবপুর এলাকায় পুলিশের একটি ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠিত করা হবে।
Leave a Reply