নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি ॥নবীগঞ্জ পৌর এলাকায় সিএনজি চালককে মারধরকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের জের ধরে নবীগঞ্জ শহরে গতকাল শুক্রবার রাত ৭টার দিকে ফের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও দোকানপাট ভাংচুর হয়েছে। এতে কয়েক লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় ।এসময় সংঘর্ষে ১০জন আহত হয়েছে । আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে ।
শহরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে অতিরিক্ত পুলিশ ও গন্যমান্য ব্যক্তিরা শালিসের জন্য আপ্রাণ চেষ্ঠা করে যাচ্ছেন।সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ শহরের ওসমানী রোডে চরগাঁও ও তিমিরপুর গ্রামের মালিকানাধীন ১০-১২টি দোকানপাটে সন্ধ্যার পর ভাংচুর চালায় রাজাবাদ,আনমনু,ফিরোজপুর,কানাইপুর গ্রামের মৎসজীবি সম্প্রদায়ের লোকজন।
এঘটনার খবর পেয়ে চরগাঁও ও তিমিরপুর গ্রামের লোকজন প্রতিরোধ করলে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় পুলিশ প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করলেও গন্যমান্য ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিরা প্রায় ১ঘন্টা চেষ্টার পর উভয় পক্ষের সংঘর্ষ রোধ করেন। এব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি এস এম আতাউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি ব্যস্ত আছি,সংঘর্ষ থামাতে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা চেষ্টা করছেন,আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছি এই বলে তিনি ফোন কেটে দেন।
এরপর বার বার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি । উভয় পক্ষের লোকজন আবারো সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন । শহরে ব্যবসায়ীদের মধ্যে তীব্র আতংক বিরাজ করছে,গত দুদিন ধরে নবীগঞ্জ বাজারের নিরীহ ব্যবসায়ীরা ভয়ে দোকানপাট খুলছেননা ।ঘটনার সূত্রপাত, গত বুধবার বিকেলে বানিয়াচং কাগাপাশা থেকে নবীগঞ্জ শহরের ফেরার পথিমধ্যে কানাইপুর শ্মশানঘাট এলাকায় পৌঁছামাত্রই চরগাঁও সিএনজি স্ট্যান্ডের সিএনজি চালক কাওছার মিয়াকে (রাজাবাদ) থানা পয়েন্টের সিএনজি স্ট্যান্ডের সিএনজি চালক শিশু মিয়াসহ কয়েকজন একত্রিত হয়ে মারধর করে।
এঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে মারধরকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে । এসময় মাছ বাজার,পোল্ট্রি ফার্ম,দোকানপাটসহ বেশ কয়েকটি দোকান ভাংচুর করা হয় । প্রায় ৩ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের শতাধিক লোকজন আহত হয় ।