কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ সিলেটের কানাইঘাটে পরকীয়ার জেরে স্ত্রী ও তার পরীকায়া প্রেমিকের হাতে নির্মম ভাবে নিহত ফারুক আহমদ হত্যা কান্ডের লৌহমর্ষক বর্ণনা আদালতে দিয়েছে ঘাতক স্ত্রী ৪ সন্তানের জননী হোসনা বেগম। গত বৃহস্পতিবার সিলেটের কানাইঘাট চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বিজ্ঞ আদালতে হোসনা বেগম এবং তার পরকীয়া প্রেমিক মোস্তফা সহ আরো দুই সহযোগী মিলে স্বামী ফারুক আহমদকে কিভাবে হত্যা করে তার লৌহমর্ষক বর্ণনা দিয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কানাইঘাট থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, স্বামী হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে হোসনা বেগম। তিনি বলেন, মামলার অধিকতর তদন্তের স্বার্থে গ্রেপ্তারকৃত হোসনা বেগমের ১০ দিনের রিমান্ড বিজ্ঞ আদালতে চেয়েছেন। ২/১ দিনের মধ্যে রিমান্ডের শুনানী হবে। তবে এ হক্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত হোসনা বেগমের পরকীয়া প্রেমিক মোস্তফা ও তার দুই সহযোগীকে অদ্যাবধি পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। মামলার আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত আছে বলে এসআই দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত যে, গত ৫ মে গভীর রাতে নিজ বসত ঘরে পরকীয়ার জের ধরে কানাইঘাট লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপির বাউরভাগ ২য়খন্ড গ্রামের মৃত মাহমুদ হোসেনের পুত্র ফারুক আহমদ (৩০) কে তার স্ত্রী হোসনা বেগম ও তার পরকীয়া প্রেমিক মোস্তফা সহ আরো দুই সহযোগী মিলে গলা কেটে নির্মম ভাবে হত্যা করে। হত্যার পর তার লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে পার্শ্ববর্তী গোরকপুর গ্রামের প্রবাসী মাসুক উদ্দিনের বাড়ীর টয়লেটের সেফটি ট্যাংকির ভিতরে ফেলে রাখে।