জাবিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যার ঘটনায় তদন্ত কমিটি

ডেস্ক রিপোর্ট ::জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তদন্ত কমিটিকে আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. স্বাধীন সেনকে প্রধান করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ কমিটি গঠন করা হয়। রেজিস্ট্রার লুৎফুর রহমান আরিফকে কমিটির সচিব করা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এ বি এম আজিজুর রহমান মুকুল স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়েছে। রাত ৮টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এ বি এম আজিজুর রহমান।

তদন্ত কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ তারেক চৌধুরী, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. এমরান জাহান, একই বিভাগের অধ্যাপক ড. আনিছা পারভীন এবং জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিনা ইসলাম।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা গেট (প্রান্তিক গেট) এলাকায় শামীম মোল্লা পিটুনির শিকার হন। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে নিরাপত্তার স্বার্থে প্রক্টর অফিসে আনা হয়। সেখান থেকে বিনা বাধায় শামীমকে পাশের নিরাপত্তা অফিসে নিয়ে যান কতিপয় ব্যক্তি। সেখানে আরেক দফায় মারধরের শিকার হন। পরে কলাপসিবল গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে আবারো মারধর করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়টির জনসংযোগ বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের (৩৯তম ব্যাচের) ইতিহাস বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী শামীম মোল্লা ক্যাম্পাসের প্রান্তিক গেটে গণপিটুনির শিকার হন। পরে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বুধবার আনুমানিক বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটে সেখানে তাকে কতিপয় ব্যক্তি মারধর করেন। খবর পেয়ে প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলমসহ প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। আহত অবস্থায় শামীমকে উদ্ধার করে নিরাপত্তার স্বার্থে প্রক্টর অফিসের একটি কক্ষে রাখা হয়। এ সময় আশুলিয়া থানা পুলিশকে ঘটনাটি জানানো হয়। কিছুক্ষণ পর কতিপয় ব্যক্তি প্রক্টরিয়াল টিমকে না জানিয়ে জোর করে শামীমকে পাশে অবস্থিত নিরাপত্তা অফিসে নিয়ে যান।

ঘটনাটি জানতে পেরে নিরাপত্তা অফিস থেকে বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের সরিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কলাপসিবল গেট তালাবদ্ধ করে দেন প্রক্টর। তখন গেট ভেঙে কয়েকজন ভেতরে ঢুকে শামীমকে আবারো মারধর করেন। রাত আনুমানিক সাড়ে ৭টায় পুলিশ এসে জানায়, শামীমের নামে থানায় একাধিক মামলা আছে। রাত ৮টার দিকে তাকে নিরাপত্তা দিয়ে পুলিশের গাড়িতে তুলে দেওয়া। রাত ১০টার দিকে পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা কল করে জানান, স্থানীয় গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শামীমের মৃত্যু হয়েছে।

সূত্র :যুগান্তর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা