স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে দক্ষিণ গজনাইপুর গ্রামের শিক্ষার্থী রাহেল আহমদ, তাহমিদ মিয়া, সাদিয়া আহমদ, জাহিদ আহমদ ও রিয়াদ পরীক্ষাকেন্দ্রে এলে উত্তর গজনাইপুর গ্রামের শুভ, মিজান ও ফাহাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। পরে দুই গ্রামের লোকজন কেন্দ্রে এসে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরবর্তীতে দক্ষিণ গজনাইপুরের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, জনৈক আলতাব মিয়াসহ কয়েকজন তাদেরকে কেন্দ্রের বাইরে মারধর করে পরীক্ষা দিতে বাধা দেয়। অপরদিকে, উত্তর গজনাইপুরের শিক্ষার্থীরাও অভিযোগ করেন—জনতার বাজার ও পুলিশের ওপর হামলার বিষয়ে ফেসবুকে পোস্ট করায় তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। তবে তারা আহত অবস্থায়ও পরীক্ষায় অংশ নেন।
দিনারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দিন তালুকদার জানান, উভয় পক্ষই লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছি। সংঘর্ষে যারা জড়িত, তাদের অনেকেই বহিরাগত বলে ধারণা করছি। কেন ৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারেনি, তা তদন্ত করে দেখা হবে।
ঘটনার জেরে মঙ্গলবারও কেন্দ্রে উত্তেজনা বিরাজ করে এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিকালের পরীক্ষাকে ঘিরে আবারও সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন। এখন সবাই উদ্বিগ্ন—পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কীভাবে স্বাভাবিক পরিবেশে পরীক্ষা পরিচালনা করা যায়।
Leave a Reply