-
- জাতীয়
- নবীগঞ্জে সংঘর্ষ ও হামলায় আহত ২০, ঘরবাড়ি ও দোকানে ভাংচুর
- আপডেট টাইম : April, 15, 2025, 11:26 pm
- 6 বার
নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা :হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে ভয়াবহ হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী-শিশুসহ অন্তত ২০ জন আহত হন এবং বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ও দোকানে ভাংচুর চালানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউপি যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফখরুল ইসলাম জুয়েল ও তাল লোকজন শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে সাংবাদিক এম. মুজিবুর রহমানের বাড়িতে অতর্কিতে হামলা চালায়। এতে সাংবাদিক মুজিবুর রহমানের চাচাতো ভাই আলমগীর (৩০), লালন মিয়া (৩৫), তার স্ত্রী মিছপা বেগম (২৮) ও রাহান মিয়া (১৪) গুরুতর আহত হন। তাদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আহত হন পরশ মিয়া (৫৫), হান্নান মিয়া (৫০), জসিম উদ্দিন (৩১), ইব্রাহিম মিয়া (২১) ও আনহার মিয়া (৩০) সহ আরও অনেকে। তাদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
জানা যায়, গত ২১ মার্চ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আলমগীরের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা মানিক মিয়ার বাকবিতণ্ডা ঘটনার জের ধরে যুবলীগ নেতা জুয়েলগং শুক্রবার বাদ জুম্মা দেশীয় অস্ত্রসহ আলমগীরকে ঘর থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করে। পরে তার আত্মীয়স্বজনদের ঘরবাড়িতে হামলা চালানো হয়।
স্থানীয় বিশিষ্টজনেরা বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চালিয়ে গেলেও জুয়েলগং তা উপেক্ষা করে। শেষ পর্যন্ত নবীগঞ্জ-বাহুবল উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য মো. শাহজাহান আলীর মধ্যস্থতায় বিকেল ৪টা পর্যন্ত মীমাংসার সময় নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু তার আগেই জুয়েলগং শতাধিক সশস্ত্র লোক নিয়ে সাংবাদিক মুজিবুর রহমানের ঘরবাড়িতে হামলা চালায় এবং রুহুল মিয়া, আরিছ মিয়া ও নাহিদ মিয়ার তিনটি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আহত আলমগীরের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply