নবীগঞ্জে সিআইডি ও থানা পুলিশের যৌথ অভিযান গ্রেফতার ৩

মোঃ সাগর আহমেদ, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ): প্রতিনিধি:হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে মিশুক চালক আবিদুর ইসলাম (১৮) হ*ত্যাকা*ণ্ডের ৩ বছর ৮ মাস পর আলোচিত মামলার তদন্তে অগ্রগতি এসেছে। সিআইডি ও নবীগঞ্জ থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে হ*ত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন চরগাঁও গ্রামের মৃত ভালু মিয়ার দুই ছেলে হাফিজুর রহমান (৩৫) ও হামিদুর রহমান (২৯) এবং সদর ইউনিয়নের গুজাখাইর গ্রামের ছাও সরকার (৬৫), যিনি নিরানন্দ সরকারের পুত্র।
গ্রেফতারের পর তাদের নবীগঞ্জ থানায় এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত ২০২১ সালের ৩১ আগস্ট রাতে। ওইদিন নবীগঞ্জ শহর থেকে মিশুক চালক আবিদুর ইসলাম যাত্রী নিয়ে বের হয়ে আর ফেরেননি। নিখোঁজের ৩ দিন পর, ৩ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার দিকে সরিষপুর এলাকার মরা কুশিয়ারা নদী থেকে কচুরিপানার নিচে লুকানো অবস্থায় তার বিবস্ত্র, মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহের পাশের কাপড় দেখে পরিবারের সদস্যরা সনাক্ত করেন।
 হত্যাকাণ্ডে এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয় মিশুক ও টমটম চালকদের মধ্যে। নিহতের বাবা মুহিবুর রহমান (পাতা মিয়া) নবীগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা (নং-০৩, তারিখ ০৪/০৯/২০২১, ধারা ৩৯২/৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড) দায়ের করেন।
তৎকালীন সময়ে পুলিশ সন্দেহভাজন দুইজনকে আটক করলেও মামলায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হওয়ায় বাদী পক্ষ মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তরের আবেদন করে। পরে সিআইডি তদন্তে নেমে দীর্ঘ তদন্ত শেষে এই তিনজনকে গ্রেফতার করে।
সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মীর মোঃ আব্দুন নাসের ও নবীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ কামাল হোসেন পিপিএম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা হয়নি।
নিহতের পরিবার দাবি করছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। ঘটনার দেড় মাস আগে আবিদুরের সঙ্গে তিমিরপুর গ্রামের দুই যুবকের বিরোধ হয় এবং শালিসে বিষয়টি মিটে গেলেও হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছিল। ঘটনার এতদিন পরও নিহতের ব্যবহৃত মিশুক গাড়িটি উদ্ধার হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা