ডেস্ক রিপোর্ট ::
পৃথিবীর দক্ষিণ মেরুপ্রান্ত অ্যান্টার্কটিকা—বরফে ঢাকা এক নীরব ভূমি। বছরের পর বছর সূর্যের আলো না পৌঁছানো এই মহাদেশ যেন ভয়ের সঙ্গে রহস্যেরও এক বিশাল জগৎ।
প্রাণঘাতী তাপমাত্রা
অ্যান্টার্কটিকার সবচেয়ে বড় আতঙ্ক হলো ভয়াবহ ঠান্ডা। শীতকালে এখানে তাপমাত্রা নেমে যায় মাইনাস ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা মানুষকে মুহূর্তেই হিম করে ফেলতে পারে। বাতাস এতটাই তীব্র যে তা কোনো জীবিত প্রাণীকে টেনে নিয়ে যেতে সক্ষম।
ভয়ংকর বরফঝড়
এ অঞ্চলের ঝড়কে বলা হয় “হোয়াইটআউট”—যেখানে আকাশ আর ভূমির সীমানা এক হয়ে যায়। অভিযাত্রীরা বলেন, এই ঝড়ে চোখের সামনে এক মিটার দূরের মানুষকেও দেখা যায় না। অনেক অভিযাত্রী এই ঝড়ে পথ হারিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন।
রহস্যময় বরফগুহা
অ্যান্টার্কটিকার গভীরে রয়েছে অসংখ্য বরফগুহা ও ফাটল। এগুলোর অনেকগুলো এখনও গবেষকদের কাছে অজানা। গুহার ভেতর আটকে গেলে বের হওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন, এই গুহাগুলোর ভেতরে হয়তো কোটি বছর ধরে লুকিয়ে আছে অজানা জীবাণু বা জীবাশ্ম।
মানুষের সীমা পরীক্ষার ক্ষেত্র
এখানে বসবাসের স্থায়ী সুযোগ নেই। কেবল বিজ্ঞানী ও অভিযাত্রীরাই গবেষণার উদ্দেশ্যে অল্প সময়ের জন্য অবস্থান করেন। তবে প্রতিটি পদক্ষেপেই থাকে ভয়—বরফ ভেঙে যাওয়া, ঝড়ের কবলে পড়া কিংবা প্রাণঘাতী ঠান্ডায় জমে যাওয়া।
বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য
বিজ্ঞানীরা বলেন, অ্যান্টার্কটিকা পৃথিবীর সবচেয়ে শত্রুতাপূর্ণ ভূমি। এখানে মানুষের টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব। তবে একই সঙ্গে এই মহাদেশ মানবজাতির জন্য এক বিশাল জ্ঞানের ভাণ্ডারও বটে।
Leave a Reply