ডেস্ক রিপোর্ট :; বাল্যবিয়ে-একটি শব্দ, কিন্তু এর পরিণতি ভয়াবহ। এটি শুধু একটি মেয়ে শিশুর জীবনের স্বপ্নকে কেড়ে নেয় না, বরং পুরো সমাজের অগ্রগতিতে বাঁধা সৃষ্টি করে। এখনো দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সামাজিক রীতি, দারিদ্র্য, অজ্ঞতা ও কুসংস্কারের কারণে অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া হয়। অথচ এই বয়সে তাদের স্কুলে যাওয়ার কথা, স্বপ্ন দেখার কথা, নিজের ভবিষ্যৎ গড়ার কথা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, বাল্যবিয়ে মেয়েশিশুর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। অল্প বয়সে গর্ভধারণের ফলে জটিল রোগ, অপুষ্টি এবং শিশুমৃত্যুর হার বেড়ে যায়। একই সঙ্গে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয় তারা, সমাজে আত্মনির্ভর হওয়ার সুযোগ হারায়।
বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি সমাজের প্রতিটি মানুষের ভূমিকা জরুরি। পরিবার থেকেই শুরু হতে পারে সচেতনতার যাত্রা। বাবা-মাকে বুঝতে হবে, মেয়েশিশু কোনো বোঝা নয়,সে পরিবারের সম্মান, ভবিষ্যতের আশার প্রতীক। মেয়েদের শিক্ষা নিশ্চিত করা ও তাদের মতামতকে মূল্য দেওয়া সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।
বিদ্যালয়গুলোতে নিয়মিত সচেতনতামূলক আলোচনা, নাটক ও পোস্টার ক্যাম্পেইন আয়োজন করা যেতে পারে। ধর্মীয় ও সামাজিক নেতারাও এই বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে বড় ভূমিকা রাখতে পারেন। পাশাপাশি বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
আমাদের মনে রাখতে হবে, বাল্যবিয়ে কোনো সমাধান নয়,এটি ভবিষ্যতের সমস্যা তৈরি করে। সচেতনতা, শিক্ষা এবং সামাজিক পরিবর্তনের মাধ্যমেই আমরা এই অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে পারি।
প্রতিটি শিশুর শৈশব হোক নিরাপদ, শিক্ষায় ভরপুর, স্বপ্নে উজ্জ্বল,এটাই আমাদের অঙ্গীকার।
Leave a Reply