ডেস্ক রিপোর্ট ::
ভূমিকা:
শিশুরা হলো ভবিষ্যতের কারিগর। তাদের সঠিক যত্ন ও পরিচর্যার ওপর নির্ভর করে একটি দেশের ভবিষ্যৎ। একজন শিশু শুধু পরিবারের নয়, সমাজ ও জাতিরও সম্পদ। তাই শিশুর যত্ন নেওয়া প্রতিটি অভিভাবকের, এমনকি সমাজের প্রতিটি মানুষের দায়িত্ব।
শিশুর সুস্থ শরীর গঠনের জন্য প্রথমেই প্রয়োজন পুষ্টিকর খাবার, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা। শিশুর জন্মের পর নিয়মিত টিকা দেওয়ার পাশাপাশি তাকে মায়ের দুধ খাওয়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণ বিশ্রাম এবং খেলাধুলাও শিশুর সুস্থ শরীর গঠনে সাহায্য করে।
শুধু শারীরিক যত্নই যথেষ্ট নয়, মানসিক বিকাশের জন্য শিশুর আবেগ-অনুভূতিকে গুরুত্ব দিতে হয়। শিশুকে ভালোবাসা, স্নেহ ও সময় দেওয়া খুব জরুরি। তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং ইতিবাচক উৎসাহ দেওয়া শিশুকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে।
শিশুর ছোটবেলা থেকেই নৈতিক শিক্ষা দেওয়া দরকার। সত্য বলা, শ্রদ্ধা করা, দায়িত্ব নেওয়ার মতো গুণাবলি পরিবার থেকেই শেখাতে হবে। সমাজে সুন্দরভাবে মিশতে শেখানোও অত্যন্ত জরুরি।
বর্তমানে প্রযুক্তি যেমন শিক্ষায় সহায়ক, তেমনই অতিরিক্ত মোবাইল বা টিভি আসক্তি শিশুর বিকাশে বাধা হতে পারে। তাই শিশুদের প্রযুক্তি ব্যবহার সীমিত রেখে সৃজনশীল কাজে উৎসাহ দেওয়া উচিত।
শিশুর যত্ন কেবল একটি দায়িত্ব নয়, এটি একটি পবিত্র কর্তব্য। শিশুরা যেমন যত্ন পায়, তেমন করেই গড়ে ওঠে। তাই সুস্থ, শিক্ষিত ও নৈতিকভাবে শক্তিশালী প্রজন্ম গড়তে হলে শিশুদের যত্নে আমরা সবাইকে সচেতন হতে হবে।
Leave a Reply