ডেস্ক নিউজ ::বঙ্গোপসাগরের অদূরে সেন্টমার্টিনের দক্ষিণে মাছ শিকারে যাওয়া একটি ট্রলারসহ সাতজন বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)-এর সদস্যরা।
বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী বোট মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে প্রাথমিকভাবে অপহৃত সাত জেলের পরিচয় জানা যায়নি।
কায়ুকখালী বোট মালিক সমিতির সভাপতি জানান, টেকনাফ পৌরসভার বাসিন্দা শাওনের মালিকানাধীন একটি মাছ ধরার ট্রলার সাগরে মাছ শিকারে গিয়েছিল। এসময় সেন্টমার্টিনের দক্ষিণে মিয়ানমারের জলসীমার কাছাকাছি এলাকায় ধাওয়া করে ট্রলারসহ সাত জেলেকে ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মির সদস্যরা। এ ঘটনায় টেকনাফের জেলে সমাজে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এদিকে মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক জানায়, গত ২৮ অক্টোবর থেকে আরাকান আর্মির উপকূলীয় নিরাপত্তা ইউনিট সমুদ্রপথে টহল জোরদার করেছে। টহলের সময় আরাকান রাজ্যের জলসীমা অতিক্রম করে মাছ ধরতে থাকা কয়েকটি বাংলাদেশি ট্রলার শনাক্ত করা হয় এবং এর মধ্যেই একটি ট্রলারসহ ৭ বাংলাদেশি জেলেকে আটক করা হয় বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিব হাসান চৌধুরী বলেন,
“একটি ট্রলারসহ সাত জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর আমরা পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে।”
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জানিয়েছে, গত আট মাসে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নাফ নদী ও সংলগ্ন এলাকা থেকে অন্তত ৩০০ জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি। এর মধ্যে চলতি বছরের মার্চ থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ২০০ জন জেলেকে অপহরণ করা হয়, যাদের মধ্যে অধিকাংশকে বিজিবির সহায়তায় ফেরত আনা হয়েছে।
তবে এখনও প্রায় ১০০ জেলে আরাকান আর্মির কাছে জিম্মি অবস্থায় রয়েছে। ফলে উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেদের মধ্যে চরম ভয় ও অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে।
সূত্র : সমকাল।
Leave a Reply