ডেস্ক রিপোর্ট:নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ার। নামটি এখন শুধু একটি পদবির সঙ্গে জড়িয়ে নেই, বরং নবীগঞ্জবাসীর আবেগ, ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে মিশে গেছে। প্রায় তিন বছর দায়িত্ব পালনের পর তিনি যখন বিদায় নিলেন, তখন শুধু একটি চেয়ার খালি হলো না—ফাঁকা হলো অসংখ্য মানুষের মনের একটি বিশেষ জায়গা।
২০২২ সালের ২৯ আগস্ট নবীগঞ্জে এসিল্যান্ড হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এরপর শুরু হয় দীর্ঘ তিন বছরের যাত্রা। মাঝে চলে গেছে দিন-রাত, উৎসব-শোক, চ্যালেঞ্জ আর সাফল্য। দায়িত্ব পালনকালে তিনি শুধু আইনকানুনের কাগুজে বাঁধনে সীমাবদ্ধ থাকেননি; মানুষের কল্যাণে পাশে থেকেছেন একজন অভিভাবকের মতো। ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা থেকে শুরু করে জনসাধারণের নানা সমস্যার সমাধানে তিনি হয়ে উঠেছিলেন ভরসার নাম।
২৪ আগস্ট ২০২৫ এই তারিখে শেষ হলো তাঁর নবীগঞ্জ অধ্যায়। বিদায়ের মুহূর্তে নিজের ফেসবুক আইডিতে উপজেলাবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি লিখলেন আবেগঘন কিছু লাইন—
২৯ আগস্ট, ২০২২ – ২৪ আগস্ট, ২০২৫।
এসিল্যান্ড হিসেবে নবীগঞ্জ উপজেলায় কর্মকাল ৩ বছর (৪ দিন কম)। দীর্ঘ এই যাত্রায় জীবনে যোগ হয়েছে কত শত নতুন অভিজ্ঞতা, অসংখ্য স্মৃতি ও অগণিত মানুষের ভালোবাসা।
বিদায়, প্রিয় নবীগঞ্জ।
অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা নবীগঞ্জের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের প্রতি। আল্লাহ সকলের মঙ্গল করুন।
পরবর্তী গন্তব্য – সিনিয়র সহকারী কমিশনার হিসেবে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, সিলেট।
এই কয়েকটি বাক্যই যেন পুরো নবীগঞ্জের আবেগকে নাড়িয়ে দিয়েছে। বিদায়ের দুঃখ, কৃতজ্ঞতার উষ্ণতা আর ভবিষ্যতের প্রার্থনা সব একসঙ্গে ধরা দিয়েছে তাঁর শব্দে।
নবীগঞ্জের সাধারণ মানুষও তাই বলছেন,শাহীন দেলোয়ার শুধু একজন এসিল্যান্ড ছিলেন না, তিনি ছিলেন আমাদের আপনজন।
হয়তো কর্মস্থল বদলেছে, কিন্তু তাঁর প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা নবীগঞ্জবাসীর হৃদয়ে থেকে যাবে চিরকাল।
এদিকে নবীগঞ্জে নবাগত এসিল্যান্ড হিসেবে যোগদান করেছেন প্রত্যয় হাশেমী। রোববার আনুষ্টানিকভাবে তিনি বিদায়ী এসিল্যান্ড শাহীন দেলোয়ারের কাছ থেকো দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
এর আগে তিনি সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ৪০তম বিসিএস এর কর্মকর্তা প্রত্যয় হাশেমী সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার বাসিন্দা। দায়িত্ব পালনে তিনি উপজেলাবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
Leave a Reply