নবীগঞ্জে অপহরন ও ধর্ষণ মামলার ৩ দিনের মধ্যে ভিকটিম উদ্ধার।। আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি

নবীগঞ্জ থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা :
নবীগঞ্জে জনৈকা স্কুল ছাত্রীকে জোরপুর্বক অপহরণ ও ধর্ষনের ঘটনায় দায়েরী মামলায় ভিকটিমকে উদ্ধার করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। পরে ভিকমিকে ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে বিজ্ঞ আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছে ওই নির্যাতিত স্কুল ছাত্রী।
এদিকে মামলার আসামী রোকতন মিয়া বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে নবীগঞ্জ শহরে। এমনকি মামলা তোলে নেয়ার জন্যও নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে।
সুত্রে জানাযায়, নেত্রকোনা জেলার মদন থানার ফতেহপুর গ্রামের মৃত কদ্দুছ মিয়ার ছেলে রোকতন মিয়া’র পালকপুত্র সান্তু মিয়ার ছেলে আসিব ওরপে আসিফ দীর্ঘদিন ধরে নবীগঞ্জ শহরের শিবপাশা এলাকায় বসবাস করে আসছে। সেই সুবাধে তাদের পাশের বাসার সাইদুল মিয়ার দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়েকে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে প্রায় সময়ই নানা ভাবে উত্যক্ত করতো। নানাভাবে কু-প্রস্তাব দিত।
এ সব ঘটনা ওই ছাত্রী তার পরিবারকে জানালে পরিবারের লোকজন আসিফের পালক পিতা রোকতন মিয়ার নিকট বিচার প্রার্থী হয়। রোকতন মিয়া বিচার না করে উল্টো মেয়ের মা’কে গালমন্দ করে বিতারিত করে।
এদিকে আসিফের কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিগত ১৪ জানুয়ারী রাতে পুর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা আসিফ, রোকতন, সাহান ও রিয়াজের সহযোগিতায় ওই স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং বিভিন্ন স্থানে রেখে তাকে ধর্ষন করে।
এ ঘটনায় গত ১৮ জানুয়ারী মেয়ের মা জুলেখা বেগম বাদী হয়ে হবিগঞ্জ নারী শিশু আদালতে সংশ্লিষ্ট ধারায় আসিফসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ বিচারক মামলার শুনানী শেষে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে মামলাটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ প্রদান করেন।
মামলাটি থানায় আসলে গত ২৪ জানুয়ারী মামলাটি থানায় রুজু হয়। এরপরই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবু সাঈদ মামলা তদন্তে এবং ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য মাঠে নামেন।
গত ২৭ জানুয়ারী সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার আউশকান্দি এলাকার একটি রেস্টুরেন্টের সামন থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করেন। পরে তাকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরন করেন। ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে ওই দিনই ভিকটিম ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়ে বিজ্ঞ আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।
এদিকে ঘটনার পরপরই রোকতন মিয়া তার পালক পুত্র ঘটনার মুল নায়ক আসিফকে সরিয়ে রাখে। এবং আসামী রোকতন মিয়া নবীগঞ্জ শহরেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাদীর পরিবার আসামী রোকতন মিয়াসহ অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু সাঈদ জানান,ভিকটিমকে উদ্ধার করার পর মাননীয় আদালতে সে ২২ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে। আসামী গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা