নবীগঞ্জ প্রতিনিধি::হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের পল¬ীতে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুুতার জের ধরে পবিত্র শবে-বরাতের রাতে মসজিদে মিলাদ পড়ানো কে কেন্দ্র করে দুপক্ষের দফায় দফায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৭০ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের খনকাড়িপাড়া গ্রামে।
গ্রামবাসী ও আহতসূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত পবিত্র শবে-বরাত উপলক্ষে খনকাড়িপাড়া গ্রামের সোহান চৌধুরী মসজিদে মিলাদ পড়ানোর জন্য শিরনী নিয়ে প্রবেশ করে। এ সময় তিনি নামাজের আগে মিলাদ পড়ার জন্য ঈমাম সাহেবকে অনুরোধ করেন। এতে গ্রামের মুকিত চৌধুরী, সোহেল ও রিপন বাঁধা দেয়। তারা জানায় নামাজের পরে মিলাদ হবে।
এ সময় অপর পক্ষের লন্ডন প্রবাসী মৃনাল চৌধুরী ও সোহান চৌধুরীর লোকজন মিলাদ নামাজের আগে হবে বলে জানায়। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়, একপর্যায়ে দু”পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। বাদ এশা এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন লোক গুরুতর আহত হয়। পরে এ ঘটনার সুত্রধরে গতকাল বুধবার দুপুরে আবারো দু’পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০জন আহত হয়। ঘটনার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
স্থানীয় এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে নিয়ে আসেন। এর মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় ১০জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গুরুতর আহতরা হলেন, আবু বক্কর (৫০) শাহ সোহান (৩০) শেকুল (১৮) ইজাজ মিয়া (৭০) জুনেদ (১০) ইমানুর (২০) আবু ইউসুফ (৫০) রবিউল (২৫) মুহিদ (৪৫) রায়হান চৌধুরী (৩২) রাব্বি চৌধুরী, (১৮) মুহিবুর রহমান (৫২) সাহেল চৌধুরী (৪১) আব্দুল মুকিত (৪৫) মারুফ মিয় া(৫৬) জুয়েল আহমেদ (৩২) জব্বার (৭০) শাকিল (২৫) সোহাগ আহমেদ (২৫)। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় থম্থমে অবস্থা বিরাজ করছে।
ওই গ্রামের হুইপএর জামাতা যুবলীগ নেতা রাহেল চৌধুরী গং ওই গ্রামের ছাত্রদল নেতা রায়েছ চৌধুরীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের আদিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় উভয় পক্ষের মধ্যে দাঙ্গাহাঙ্গামা ও মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে। এ নিয়ে আতংকে আছেন খনকাড়িপাড়া গ্রামের সাধারণ লোকজন।