ইনাতগঞ্জে স্কুল ছাত্রীর সাথে ইভটিজি: অত:পর সিরাজুলের নেতৃত্বে হামলা।। ছাত্রীসহ আহত ৪

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি: নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জে ৯ম শ্রেণির ছাত্রীর সাথে ইভটিজিং অত: পর হামলা ছাত্রীসহ একই পরিবারের ৪ জন আহত হয়েছে। আহতদের নবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আদালতে মামলা হয়েছে।

স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের প্রজাতপুর গ্রামের লিটন মিয়ার মেয়ে তানিয়া বেগম(১৫) স্থানীয় নাদামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। সে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসার পথে প্রতিদিনই রাস্তায় ইভটিজিং ও অঙ্গভঙ্গি করে একই গ্রামের গুলজার মিয়ার পুত্র সাগর মিয়া। এ নিয়ে ছাত্রীর মামা সেনাজুল হক সাগরের পিতা গুলজার মিয়া ও সিরাজুলের কাছে একাধিকবার বিচার প্রার্থী হয়েও নিরাশ হন।
সর্বশেষ গত গত ৩০ অক্টোবর
আবারও সাগর ইভটিজিং করার বিচার  দিলে সিরাজুল ও  সাগরের পিতা গুলজার সেনাজুলের প্রতি ক্ষিপ্ত হন। এ নিয়ে বাদানুবাদ হয়। কিছু সময পর মারামারি ও লুটপাটের একাধিক মামলার আসামী মৃত ওয়াকিব উল্লার ছেলে সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে গুলজাসহ ১০/১২ জন লোক সেনাজুলের বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এর আগে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে ছাত্রীদের প্রতি হামলা চালায়। তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত আহত হন লিটন মিয়ার মেয়ে নাদামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী তানিয়া আক্তার(১৫), নুরুল হকের ২ মেয়ে কইখাই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী মারজিয়া বেগম(১০) ও ৫ম শ্রেণির ছাত্রী সাইমা আক্তার (১২), মাইন উদ্দিনের পুত্র সেনাজুল হক(৩৩)।
 শিশু শিক্ষার্থীদের উপর এমন ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় শংকিত গ্রামসহ এলাকাবাসী।
 হামলার বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোসলেহ উদ্দিন আহমেদকে জানালেও তিনি ঘটনা স্থলে যাননি।
এ ব্যাপারে নুরুল হক বাদী হয়ে হবিগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলার এফআইআর করে আসামীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নবীগঞ্জ থানাকে নির্দেশ প্রদান করেছেন।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মাসুক আলী জানান,এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা