নোয়াখালীতে নিখোঁজের ১১ ঘন্টা পর মুদি দোকান থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

নুরুন্নবী নবীন,নোয়াখালী প্রতিনিধি :: নোয়াখালী সদর উপজেলার ধর্মপুরে নিখোঁজ হওয়ার ১১ ঘন্টা পর তার নিজের মুদি দোকান থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে পুলিশ ও নিহতের পরিবার তাৎক্ষণিক এ হত্যাকান্ডের কোন কারণ জানাতে পারেনি।নিহত কামাল উদ্দিন জুয়েল (৩৫) সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের মাধু মিয়ার বাড়ির আবুল কালামের ছেলে। তিনি ২ ছেলের জনক ছিলেন।

ধর্মপুর ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের ঈদগাও মাঠের পোলের গোড়া সংলগ্ন নিহতের মুদি দোকান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহতের ছোট ভাই মো.শাহদাত হোসেন মামুন জানান, তাদের বাড়ি ধর্মপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মপুর গ্রামে। তার সেজো ভাই জুয়েল একই ইউনিয়নের তাদের বাড়ি সংলগ্ন ২নম্বর ওয়ার্ডের ঈদগাও মাঠের পাশে মুদি দোকান করত। পাশাপাশি পরিবারের দেখভাল করত সে। তারা তিন ভাই প্রবাসে থাকেন।

তিনি আরো জানান, তাদের দুবাই প্রবাসী দুই ভাই দুবাই থেকে মাঝে মধ্যে হন্ডির ব্যবসা করত। তারা হুন্ডির টাকা বিদেশ থেকে জুয়েলের কাছে পাঠায়। সে টাকাগুলো বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দিত। গতকালকে দুবাই থেকে হন্ডির মাধ্যমে এক লক্ষ টাকা জুয়েলের কাছে পাঠানো হয়। রাত ১১টার দিকে জুয়েল ঘরে ভাত খেয়ে বাহিরে চলে যায়। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। রাত ১২টার দিকে আমার ভাবি আমাকে এ বিষয়ে ফোন করে জানালে আমি তার নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি। আমি মনে করেছি তিনি টাকা দিতে হয়তো মাইজদী গেছেন। পরে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আমি শুয়ে পড়ি। সকাল ১০টার দিকে আমার জেঠাতো ভাই মো. ইরাজ তার দোকানে গিয়ে শাটার খুলে দেখতে পায় শাটারের পাশে একটি লোহার সাথে তার মরদেহ ঝুলে আছে।

নিহতের ভাই মামুন অভিযোগ করেন, কখনো আমার ভাই রাতে দোকানে থাকত না। তার ভাইকে কেউ হত্যা করে দোকানের ভিতর একটি লোহার সাথে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে। তার ভাইয়ের হাতে হালকা আঘাতের চিহু রয়েছে বলেও জানান তিনি।

সুধারম থানার ওসি মো. সাহেদ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা এ বিষয়ে এখনো কিছু বলা যাচ্ছেনা। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা