আলী জাবেদ মান্না:: হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায় আরও ৬জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ২ স্বাস্থ্য কর্মী রয়েছেন। ঢাকা ফেরত একই পরিবারের ৩ জন তাদের গ্রামের বাড়ী ৭ নং করগাঁও ইউনিয়নের পুরুষত্তমপুর। ৪ নং দীঘলবাক ইউনিয়নের মথুরাপুর গ্রামের ১ জন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও আব্দুস ছামাদ, ৬ জন করোনা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এনিয়ে, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৮ জনে। তাদের কে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের মাধ্যমে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

নবীগঞ্জে আরও ৬ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। মোট সংখ্যা দাঁড়ালো -১৮

নবীন, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ   
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার মীরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী তারেক হোসেন (৩০) করোনায় আক্রান্ত ছিল। তারেক ছাড়াও নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১৩জন। এ নিয়ে জেলায় মোট ৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
 
সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা: মো. মোমিনুর রহমান।

বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার দাস বলেন, গত ৬ মে সকালে হাসপাতালে নমুনা দিয়ে যায় ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী তারেক হোসেন। ওইদিন সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি। মৃত তারেকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।

এছাড়া হাজীপুরের একজন, কিছমত করিমপুরের একজন, লক্ষীনারায়ণপুরের , নারী দুইজন, চৌমুহনী বাজারের ফেনী রোডের একজন, মীরওয়ারিশপুরের একজন ও চৌমুহনী পৌরসভার উত্তর নাজিরপুর গ্রামের এক ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে চৌমুহনী বাজারের কাপড় ব্যবসায়ীসহ দুইজন ব্যবসায়ী রয়েছেন। আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে তাদেরকে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রিয়াজ উদ্দিন জানান, গত ৩ মে পাঠানো নমুনায় তিন শিশু ও দুই নারীর করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে দেওটি এলাকার (৫৫), (২৩) ও (১০) বছরের এক শিশু রয়েছে। অপর দুই শিশু নদনা এলাকার (১২) ও (২)। আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে তাদেরকে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, গত ৩ মে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ২০ বছর বয়সী ওই যুবক নমুনা দিয়েছিল। বর্তমানে তার করোনা শনাক্ত হয়েছে। সে জেলা শহরের হাসপাতাল রোডের বাসিন্দা। তার বাসা লকডাউন করে তাকে আইসোলেশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

সিভিল সার্জন ডা: মো. মোমিনুর রহমান বলেন, গত ৩, ৬ ও ৭ মে পাঠানো নমুনাগুলোর মধ্যে জেলার সদরে ১, বেগমগঞ্জে ৮ ও সোনাইমুড়ী উপজেলায় ৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

উল্লেখ্য, জেলায় মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ জন। যার মধ্যে জেলার বেগমগঞ্জে ২০ জন, সদরে ৭ জন, সোনাইমুড়ীতে ৯ জন, হাতিয়ায় ৫ জন, সেনবাগে ১ জন, কবিরহাটে ২ জন, চাটখিলে ৩ জন ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ১ জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন সোনাইমুড়ীতে মোরশেদ আলম (৪৫) নামে এক ইতালি প্রবাসী, সেনবাগে এক রাজমেস্ত্রী মো. আক্কাস (৪৮) ও বেগমগঞ্জে তারেক হোসেন (৩০) নামের এক ব্যবসায়ী। সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন সোনাইমুড়ীতে মৃত ইতালী প্রবাসীর স্ত্রী, চৌমুহনী চৌরাস্তার আপন নিবাসের এক নারী ও তার ছেলে।

নোয়াখালীতে আরো ১৪ জনের করোনা শনাক্ত

ফেসবুকে আমরা