নবীগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠে নেমেছেন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।

নাজমুল ইসলাম::
নবীগঞ্জ পৌর নির্বাচন যেতে না যেতেই শুরু হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী আমেজ।
সম্ভাব্য প্রার্থীরা নড়াচড়া দিচ্ছেন নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকাতে।
নির্ধারিত পাঁচ বছর মেয়াদ অনুযায়ী আগামী মার্চ মাসেই শুরু হওয়ার কথা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। তাই শুরু হয়েছে প্রার্থীদের নির্বাচনী আগাম প্রচারনা। দলীয় মনােনয়ন লাভের আশায় সম্ভাব্য প্রার্থীরা দিনরাত প্রচার – প্রচারনা চালাচ্ছেন। কেউ করছে উঠান বৈঠক, আবার কেউবা করছে জনসংযােগ।
অনেকে আবার এক বছর আগ থেকেই নির্বাচনী প্রচারণা করে আসছেন।
উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গ্রামের সাধারণ ভোটারদের মতামত জানা ও তাদের সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টাও চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। নির্দিষ্ট কোন এলাকা অথবা ১০ থেকে ২০টি বাড়ি নিয়ে একেকটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এতে নারীর অংশগ্রহণ সর্বাধিক। নারীরা কাছ থেকে নেতা ও জনপ্রতিনিধির বক্তব্য শুনতে পারছেন। তাদের কথা বলতে পারছেন। এরকমই আগাম ভােটারদের মন জয় করতে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে সর্বত্র বিস্তার করছেন প্রার্থীরা। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতিও।
তবে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন তাই দলের বাহিরে গিয়ে নির্বাচন করলে দল থেকে বহিষ্কার হবে সেটা মাথায় রেখে দিচ্ছেন প্রতিশ্রুতি।
অনেকে আবার সতন্র প্রার্থী হবেন বলেও জানিয়েছেন। পুরোদমে চলছে মাঠ গঠনের প্রতিযোগিতা। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নসহ হাট বাজারগুলোতেও বইছে নির্বাচনী গরম হাওয়া।
এদিকে, চলতি ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তফসিল দিয়ে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আগামী মার্চ মাসে ৭ শতাধিক ইউপিতে ভােট করার কথা থাকলেও তা পারছে না নির্বাচন কমিশন(ইসি)। এ ক্ষেত্রে ঈদের পর এ ভােট শুরুর চিন্তা করছে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি।
আগামী ২ মার্চ ভোটার তালিকা চুড়ান্ত করা এবং মধ্য এপ্রিলে রমজান শুরু হওয়ার কারণ ও চূড়ান্ত তালিকা না হলে নতুন ভােটাররা নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও ভােটদান করতে পারবেন না। তাই চুড়ান্ত তালিকা না করে এ নির্বাচনের তফসিল দিতে চাইছে না নির্বাচন কমিশন। এবং আইনি জটিলতা এড়াতেই ইসি এ নির্বাচন পিছিয়ে দিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
তবে এপ্রিলের মধ্যে মেয়াদ শেষ হবে এমন বেশকিছু ইউনিয়ন পরিষদে রমজানের আগে ভােট হতে পারে বলে জানাযায়।
এব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দেবশ্রী দাস পার্লি সাথে কথা হলে তিনি জানান, রমজানের আগে নবীগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
উল্লেখ্য, গত ২০১৬ সালে মােট ছয় ধাপে ৪ হাজারেরও বেশি ইউনিয়নে ভােটের আয়ােজন করে নির্বাচন কমিশন। প্রথম ধাপে ৭৫২ ইউপির ভােট হয় ২২ মার্চ মাসে। এরপর ৩১ মার্চ,২৩ এপ্রিল,৭ মে,২৮ মে ও ৪ জুন ভােট গ্রহণ হয়। তবে এবার ইউনিয়নের সংখ্যা কিছু বেড়েছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে কমিশন। গতবারের মতাে এবারের ইউপি নির্বাচন হবে দলীয় প্রতীকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা