নবীগঞ্জ উপজেলার করগাও ইউনিয়নের গুমগুমিয়া দুর্গা মন্দরিরের পূজামণ্ডপের সামনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে মাদ্রাসার ছাত্র ও যুবকদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) ডালিম আহমেদ চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছেন। তার মাথায় ৪ টি সেলাই রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নবীগঞ্জ উপজেলার করগাও ইউনিয়নের গুমগুমিয়া গ্রামের পাঞ্জারাই জি.কে.ওয়াই দাখিল মাদ্রাসার ছাত্ররা স্থানীয় যুবকদের নিয়ে মিছিল বের করে। মিছিলটি গুমগুমিয়া গ্রামের দুর্গা মন্দিরের সামনে আসা মাত্রই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে মাদ্রাসা ছাত্রদের বাকবিতন্ডায় হয়। এসময় দুর্গা পূজা মন্ডপের সামনেই উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।
খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করলে নবীগঞ্জ থানার ওসি মো. ডালিম আহমদ মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন। তাকে নবীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত হন আরে ২০ জন।
সংঘর্ষে তাৎক্ষনিকভাবে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী। এ সময় তিনি প্রাণপন চেষ্টা করে পরিস্থিতি শান্ত করেন। স্থানীয়রা জানান এ সময় এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী এমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা না রাখলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা ছিল। করগাঁও ইউনিয়ন আলমগীর চৌধুরীর জন্মস্থান।
এরপরই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন
হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদ, সিলেটের ডিআইজি মো. মফিজ উদ্দিন, হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী,, নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন, সার্কেল এএসপি আবুল খায়ের। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
Leave a Reply