নোয়াখালীর কবিরহাটে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি, ৪ গুলিবিদ্ধসহ আহত ৭

নোয়াখালী প্রতিনিধি:নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আজ সন্ধ্যায় কবিরহাট পৌরসভার জিরো পয়েন্টে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুন নাহার শিউলী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী বিদ্রোহী) জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আলা বক্স টিটু এর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি, ৪ গুলিবিদ্ধসহ ৭ জন আহত হয়েছেন।

গুলিবিদ্ধরা হলেন, উপজেলার পূর্ব ফতেহপুর গ্রামের নওয়াব আলীর ছেলে ইব্রাহিম খলিল (৪০), মফিজ উদ্দিনের ছেলে জয়নাল আবেদিন (৩৫), আবুল মিয়ার ছেলে মুন্সী বোবা (৩০) ও একই উপজেলার ঘোষবাগ গ্রামের মো. সবুজ মিয়ার ছেলে মো. হাসান (১৮) এবং আহতরা হলেন, সদর উপজেলার মাইজদী গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে রয়েল (৩২), পশ্চিম মাইজদী গ্রামের তরিকুল্যাহ পাটোয়ারীর ছেলে ইকবাল হোসেন (৪২) ও একই উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের আবু মিয়ার ছেলে শরীফ হোসেন (২৯)। গুলিবিদ্ধসহ আহতদেরকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা: সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, গুলিবিদ্ধদের মধ্যে জয়নাল আবেদিন এর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায়, উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) টমাস বড়–য়া জানান, সন্ধ্যা ৭ টায় কবিরহাট উত্তর বাজার থেকে নৌকা প্রার্থীর সমর্থনে একটি মিছিল নিয়ে জিরো পয়েন্টে পৌঁছলে, বিপরীত দিক থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আলা বক্স টিটু (আনারস মার্কা) এর সমর্থনে অন্য একটি মিছিল একই স্থানে মিলিত হলে, উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় ও পরে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় কয়েক রাউন্ড গুলি হলে, ৪ গুলিবিদ্ধসহ ৭ জন আহত হয়।

পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ গোলাগুলির কথা স্বীকার করে জানান, নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে, দুই পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। অনাকাংক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে ঘটনাস্থলে র‌্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আগামী ৩১ মার্চ নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, আওয়ামী লীগের কামরুন নাহার, ‘বিদ্রোহী’ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আলা বক্স ও স্বতন্ত্র খাদেমা আক্তার, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে তিন প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী হলেন, মো. মানজুর হোসেন, মো. নুরুল আলম ভূঁইয়া, মো. নজরুল ইসলাম এবং নারী ভাইস-চেয়ারম্যান পদে তিন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী হলেন, শাহানা আক্তার, বিবি জয়নব ও ফরিদা ইয়াসমিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা